শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি জানান, আজ বুধবার থেকে আবারও দেশব্যাপী ভারি কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে যাচ্ছে।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ তথ্য জানান পলাশ।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, আবারও ঘন কুয়াশা বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করেছে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে।
আজ বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনিসংহ বিভাগের সব জেলা কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে দুপুর ১২টার আগে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনিসংহ বিভাগের জেলাগুলো কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী শুক্রবার সকালে পুরো দেশ কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত শীতের অনুভূতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তবে শনিবার থেকে তাপমাত্রা কমে একটানা পাঁচ-ছয় দিন শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামী দুই-তিন দিন তাপমাত্রা বাড়া বা কমার তেমন উল্লেখযোগ্য প্রবণতা নেই। কখনো কিছুটা বাড়তে পারে, আবার কখনো কমতে পারে। তবে আগামী শনিবার থেকে দিনের তাপমাত্রা কমার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফলে তখন শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।’
হাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার থেকে পরের সপ্তাহজুড়ে শীত কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
কোনো কোনো অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহও হতে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। দেশের উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
Leave a Reply