গতবছরে ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে ৫ই আগস্ট যাত্রাবাড়ি থানার সামনে পুলিশের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় আহত শিক্ষার্থী বোরহান খান সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে সেদিনকার তার বিভৎস অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
আহত বোরহান খান বলেন, আমরা প্রায় ২০-৩০ জন ছিলাম। পাখির মত গুলি করছিলো৷ যার গায়েই গুলি লাগছিলো সেই নগদে মারা যাচ্ছে। আমি শুয়ে ছিলাম হাতের উপর ভর দিয়ে যার কারণে গুলি আমার হাতের সাইড দিয়ে চলে গেছিলো। দাগটা এখনো রয়ে গেছে। আল্লাহর রহমতে হাতের হাড়ে লাগেনি গুলি। যার কারণে বড় ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হই নাই।
পুলিশের ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমার হাতে গুলি লাগার পর আমি সোজা হয়ে শুয়ে যাই। যখন দেখলাম পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের আয়ত্তে আছে তখন আমি মরার ভান করে শুয়ে ছিলাম৷ চোখগুলো বন্ধ ছিল, কিছুক্ষণ পর চোখ মেলে দেখি গুলি চলছেই। গুলির শব্দে আমার চোখ নড়ছে দেখে এক পুলিশ দেখে বলছে, এ এখনো মরে নাই। পরে কয়েকজন এসে আমাকে লাথি মারছে।
তিনি আরো বলেন, পরে আমার চোখে-মুখে পানির ছিটা দেওয়ার পর আমি চোখ মেললে পুলিশেরা আমাকে জোরে আঘাত করতে থাকে, আমার মুখের উপর পা দিয়ে পাড়া দেয়। আমি চিৎকার করে বলছিলাম, স্যার আমাকে ছেড়ে দেন। পরে একজন বলে, উনাকে আর মারিয়েন না। আমার পায়ের রানগুলো ফুলে গেছে, পা অনেক জখম হইছে। পরে একজন বলে, উনি যদি যেতে পারে তাহলে ছেড়ে দেও।
সূত্র: যমুনা টিভি
Leave a Reply