গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনই দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
দ্য হিন্দুর দাবি, সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য ‘লকডাউন’ নিশ্চিত করার কথা হয়, যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে ‘আশ্রয়’ নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এর পর থেকে তিনি ওই দেশেই আছেন। তবে ভারত সরকার এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে কোন স্ট্যাটাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে সেবিষয়ে কিছুই জানায়নি।
দ্য হিন্দু পত্রিকায় একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি দাবি করেছেন, “আমরা সে সময়ে গণভবনে উপস্থিত ছিলাম এবং ক্রমাগত এই পরিকল্পনাই করছিলাম যে— কীভাবে ছাত্র বিক্ষোভের সমাধান করা যায়।
তবে আমাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেছিলেন— (সাবেক) প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক পদত্যাগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়বে। সেই কারণেই লকডাউনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।”
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভকারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা পরিচালনা করেছিলেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়, যখন শেখ হাসিনা চীনে রওনা হন এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন তীব্র বিক্ষোভের রূপ ধারণ করে।
ছাত্ররা যখন ‘এক দফা দাবি- শেখ হাসিনার পদত্যাগ’ দাবি করে তখন চৌধুরীকে শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-সমন্বয়কারীদের সাথে আলোচনা করতে বলেছিলেন। পরে অবশ্য ছাত্রবিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠলে চৌধুরী আত্মগোপনে চলে যান।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাবের ওপরই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলেও দাবি করেছেন নওফেল।
Leave a Reply