গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক সংসদ সদস্য এবং আলোচিত হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান মারা গেছেন। আজ রোববার ভোরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানিয়েছেন, কর্নেল কাদের খান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগে কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেন। এরপর তাঁকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং ১৫ জানুয়ারি থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্তে কর্নেল কাদের খানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালত লিটন হত্যা মামলায় কাদের খানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই ঘটনায় দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি খানপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কর্নেল কাদের খান। চিকিৎসক পেশায় যুক্ত থাকা অবস্থায় তিনি বগুড়ায় বসবাস করছিলেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কাদের খানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে রেখে গেছেন। তাঁদের দুজনই চিকিৎসক। আজ রাতেই বগুড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে কাদের খানের দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই সাবেক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে আলোচনা চলছে। একসময় জনপ্রতিনিধি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও জীবনের শেষ সময়টা তাঁকে পার করতে হয়েছে কারাগারে বন্দি অবস্থায়।
Leave a Reply