বাংলাদেশে কাজ করা কূটনীতিকের পদত্যাগ !

সময়ের ব্যবধান আর মাত্র একদিন। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথ গ্রহণের আগেই শুরু হয়ে গেছে নানা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। ট্রাম্প ইতিমধ্যে বাইডেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা মার্শা বার্নিকাটকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। এতে বাংলাদেশের প্রতি ট্রাম্পের কোন বিশেষ বার্তা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

নভেম্বরে নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই ট্রাম্প তার প্রশাসনের নীতি নির্ধারণের পথে অগ্রসর হচ্ছেন। এ থেকেই স্পষ্ট যে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জন্য ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে, তা আগামী দিনে আরও পরিষ্কার হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রমে বিপরীত মতাদর্শের পরিবর্তন এবং কট্টরপন্থী কূটনীতিকদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত, বিশ্বব্যাপী নীতিগত পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে।

বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের নীতির বিপরীতে ট্রাম্প নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে কূটনৈতিক পদে নতুন সমন্বয় তৈরি করছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তিন প্রভাবশালী কর্মকর্তা, ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট এবং অ্যালাইনা টেপলিটজকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

বার্নিকাট ছিলেন ইউএস ফরেন সার্ভিসের মহাপরিচালক এবং গ্লোবাল ট্যালেন্টের পরিচালক, যেখানে তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টে কর্মী নিয়োগ ও কর্মজীবন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।Travel packages

এদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের গঠনমূলক দায়িত্বে থাকা এজেন্সি রিভিউ টিম। সাধারণত, রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর পদত্যাগ করেন, তবে ক্যারিয়ার কূটনীতিকরা সাধারণত প্রশাসন পরিবর্তনের মধ্যে নিজেদের কাজ চালিয়ে যান। তবে, এই তিন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে কিছু আলাদা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *