এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি) পরীক্ষায় কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফলাফল আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের সবাইকে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, শুধু মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ের জন্য কোটা থাকবে, নাতি-নাতনিদের জন্য নয়। আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের সনদপত্র যাচাই-বাছাই করাতে হবে। যদি কারও মিথ্যা তথ্য পাওয়া যায় তাহলে তার ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। খালি সিট মেধার মাধ্যমে শুধু মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ের জন্য কোটা থেকে পূরণ করা হবে।
এদিকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ‘অযৌক্তিক’ কোটা ব্যবস্থা নিরসন ও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে পুনরায় তা প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে আজকের মধ্যে ফলাফল পুনঃপ্রকাশ না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়। এর দুদিন পর গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ২৬৯টি আসনের মধ্যে ১৯৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর তুলতে পারেন। মুক্তিযোদ্ধার বাকি আসনগুলো মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হয়।
এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০।
সেই হিসাবে এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ছাত্র ২২ হাজার ১৫৯ জন, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় একজন সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়েছেন।
Leave a Reply