মঙ্গলবার শপথ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জয়ের পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে আশঙ্কা জাগছে যে, ভারত ট্রাম্প প্রশাসনকে ভর করে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে?
বিগত গত কয়েক দশকে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক বহুমুখী পর্যায়ে পৌঁছেছে। অন্যদিকে তিক্ততার সম্পর্কে পরিণত হয়েছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বিশ্লেষকদের ধারণা, ক্ষমতার পালাবদল হলেও ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের প্রতি তাদের এশিয়া নীতির আলোকে পরিচালিত হবে। যদিও ট্রাম্প ও মোদির সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতাকে অনেকে সম্ভাব্য প্রভাবক হিসেবে দেখছেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে বাংলাদেশে প্রভাব খাটাতে চাইতে পারে তবে সেটাকে যুক্তরাষ্ট্র কতটা আমলে নিবে সেটি নির্ভর করবে স্থানীয় কূটনৈতিক বাস্তবতা ও মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির উপর।
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন,ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকবে।কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ঢাকাকে আর দিল্লির চোখে দেখবে না। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের নিয়মিত কার্যক্রম এবং স্বাধীন মূল্যায়ন এটিকে নিশ্চিত করবে।
Leave a Reply