পলকের ‘রিমান্ড তো মাত্র শুরু’,আদালতে পিপির বক্তব্যে ঘটনার নতুন মোড়!

বুধবার ঢাকার আদালতে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলককে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাজির করা হয়। পলকসহ আরও কয়েকজন নেতাকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, তার মক্কেল ইতোমধ্যে ৫৮ দিন রিমান্ডে ছিলেন এবং সেই সময় নতুন কোনো তথ্য বের হয়নি। তিনি আরও জানান, রিমান্ডে থাকার সময় পলক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারজানা ইয়াসমিন আদালত থেকে আবেদন করেন যে, যদি আরও কোনো প্রশ্ন করা হয়, তবে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

এই বিষয়ে প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “রিমান্ড তো মাত্র শুরু হয়েছে।” পিপি ফারুকী আরো জানান, পলকসহ অন্যান্যরা ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত এবং তিনি ইন্টারনেট বন্ধের মতো অপকর্মে অংশ নিয়েছিলেন।

ফারুকী আরও বলেন, “প্রতিটি হত্যার ষড়যন্ত্রে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকও জড়িত।” তিনি ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “তদন্তকারী কর্মকর্তার কাজ হচ্ছে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা।”

আলোচনার পর আদালত জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান এবং সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্লাহকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমদ মজুমদার, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মশিউর রহমান, এবং রমনা বিভাগের সাবেক ডিসি জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে, আদালতের রায় নিয়ে আগামী দিনগুলোর আইনি কার্যক্রমে নজর থাকবে, যেহেতু এই মামলার তদন্তের সঙ্গে আরও বড় ঘটনার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *