কৃষকের খাজনার টাকায় উপদেষ্টারা হেলিকপ্টারে চড়ে বেড়ান: হাসনাত কাইয়ুম

কৃষকের খাজনার টাকায় উপদেষ্টারা হেলিকপ্টারে চড়ে বেড়ান বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। আজ রোববার বেলা দুইটায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ‘উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশে’ প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাট–ঘাট থেকে ইজারা প্রথা বাতিল, নদীভাঙন রোধ, কৃষকের সঙ্গে আলোচনা করে কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণসহ ১২ দফা দাবিতে উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। চিলমারীর জোড়গাছ এলাকায় সফিউল আলম রাজা স্টেডিয়ামে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘হাট ও ঘাট থেকে সরকার ইজারাদারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে জমিদারি প্রথার মতো করে খাজনা আদায় করে। বাংলাদেশ থেকে হাটে-ঘাটে খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা আমরা বাতিল করাব। কিন্তু এ দেশে সবচেয়ে বেশি যেভাবে খাজনা তোলা হয়, সেই খাজনা হলো অদৃশ্য খাজনা। সেই খাজনা দেখা যায় না। আমাদের কৃষকেরা যে খাজনা দেন, ওই খাজনার টাকায় উপদেষ্টারা হেলিকপ্টারে চড়ে বেড়ান। আমাদের খাজনার টাকায় তাঁদের গাড়ির তেলের দাম দেয়, তাঁদের বেতন হয়।’

ভ্যাট বাড়ানোর সমালোচনা করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘আমাদের কৃষকের সন্তানেরা কাজের জন্য দেশের বাইরে যান। তাঁরা পরিবারের সঙ্গে একটু কথা বলেন, সেখানেও সরকার অতিরিক্ত ভ্যাট বসিয়ে রেখেছে। মোবাইল ফোনে ১০০ টাকার কথা বললে সরকার সেখান থেকে ৪০ টাকা কেটে নেয়। আপনি ১০০ টাকার ওষুধ কিনলে সেখানে থেকে ৩০ টাকা ভ্যাট কেটে নেয়। সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে আট কোটি টাকা ভ্যাট তুলে নেয়। একটি গরিব পরিবার থেকেও বছরে আড়াই লাখ টাকা খাজনা তুলে নেয়।’

আগামী নির্বাচনের বিষয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আজকে এ দেশের সংস্কারের নিয়ে দুই নম্বর আলাপ শুরু হয়েছে। তারা নতুন করে তর্ক শুরু করেছে সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে। আজকের কৃষক সমাবেশ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমার দেশের মানুষের স্বার্থ আগে। বিগত ৫৩ বছর তো আপনারা নির্বাচন করলেন। এ দেশের মানুষের জন্য সংবিধান সংস্কার করতে পারেননি। আজ আমাদের সন্তানেরা বুকের রক্ত দিয়ে নতুন দেশ এনেছে। আগে সংস্কার হবে, এরপর নির্বাচন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *