শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষদের কাজের ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক কর্মী রুকাইয়া জাহান চমক। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক খোলা চিঠিতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “দেশে যখন সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন শুধুমাত্র শিল্পীদের কাজ করতে গেলেই কেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়?”
তিনি বলেন, “একটি দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন, নিজস্বতা, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি, শৈল্পিক ইতিহাস সংরক্ষণ, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং জাতিগত শিকড় রক্ষা সম্ভব নয় শিল্পীদের বাদ দিয়ে। শিল্পীরা আমাদের সংস্কৃতির ধারক-বাহক এবং জাতির মেরুদণ্ডের অংশ।”
চমক মনে করিয়ে দেন, সম্প্রতি কিছু শিল্পী দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নির্ভীকভাবে রাজপথে নেমেছিলেন। তাদের সাহসিকতা ও দেশপ্রেম লাখো মানুষের অনুপ্রেরণা হয়েছিল। অথচ তাদের অবদান দ্রুতই ভুলে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “তাদের কণ্ঠস্বর নির্ভীক ছিল, তারা কোনো প্রকার ট্যাগ দিয়ে থামানো যায়নি। তারা দেশ ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। অথচ তাদেরকে এভাবে বাধা দিয়ে কী প্রমাণ করতে চায় কিছু মানুষ?”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “এই বাধাদানকারীরা আসলে কারা? তাদের আসল উদ্দেশ্যই বা কী?” চমক জোর দিয়ে বলেন, “এই দেশ আমাদের সবার। এখানে সব পেশা, জাতি, ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। যারা এই স্বাভাবিক জীবনধারায় অহেতুক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তারা প্রকৃতপক্ষে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে না।”
তিনি অবশেষে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, “দেশটা করোর বাপের না” – এই স্লোগানের মর্মার্থ। তিনি বলেন, “আমরা এই দেশকে জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি, এবং কোনো বাধাই আমাদের এই ভালোবাসা বা সাংস্কৃতিক মুল্যবোধকে নষ্ট করতে পারবে না।”
রুকাইয়ার এই বক্তব্য দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ইতিবাচক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/15gatMFjyZ/
Leave a Reply