দলে দলে পায়ে হেঁটে ফিরছেন তারা!

অবশেষে বাড়িতে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলি হামলায় যেখানে তাদের বাঁচার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছিল। সেখানে আজ তারা নিজেদের বাড়ি ঘরে ফিরে যাচ্ছে। নিজেদের ভূখণ্ডে ফিরে যাওয়ার যে স্বপ্ন তারা এতদিন দেখতে ছিল। আজ তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিন।

আল জাজিরার প্রতিনিধিরা দেখেছেন, দলে দলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিরে যাচ্ছে। খাবার এবং পানি নিয়ে তারা রওনা দিয়েছেন। আনন্দ উল্লাসে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন।

অনেক পরিবার তাদের মালামাল নিয়ে গাধার গাড়িতে চড়ে বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে সালাহ আল দিন রোড থেকে তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফেরার অনুমতি দেয়া হবে।

এদিকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার উত্তরাঞ্চল ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে ফেরা আরও কষ্টদায়ক হতে পারে। কারণ অনেকের বাড়িঘর পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আবার অনেকে তাদের আত্মীয় স্বজনদের খুঁজে বের করতে ধ্বংস্তূপের নিচে খোঁড়াখুঁড়ি করতে পারে।

তারপরও উত্তর গাজায় ফেরা বাসিন্দাদের মাঝে কোনো হতাশার ছাপ নেই। তারা আনন্দ আর উৎফুল্ল নিয়ে নিজ এলাকায় ফিরছে। যুদ্ধের শুরুতে ওই অঞ্চলে থেকে জোর পূর্বক ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ফেরাকে মেনে নিতে পারছে না ইসরায়েলের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী বেন গভির। ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়াকে তিনি হামাসের বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন।

এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, নেটজারিম মহাসড়ক উদ্বোধনের মাধ্যমে ১০ হাজার ফিলিস্তিনিকে উত্তর গাজায় প্রবেশে সুযোগ দানের মাধ্যমে হামাসের বিজয় ফুটে উঠেছে। বেপরোয়া চুক্তির এটি আরেকটি লজ্জাজনক দৃশ্য। এটি ইসরায়েলের কোনো বিজয় নয়, বরং হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ।

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এর বিরোধীতা করে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন বেন গভির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *