এক সময় এদেশে একটি জনপ্রিয় স্লোগান ছিল, “বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান।” তবে এই শীত হতে পারে বেশি করে আলু খাওয়ার সেরা মৌসুম। যারা ওজন কমাতে চান, তারা ভাতের পরিবর্তে আলুকে খাদ্যতালিকায় রেখে উপকার পেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন।
বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় সবজি হলো আলু। এটি প্রায় সব ধরনের খাবারের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়। চিপস, ফ্রাই, চপ, পাকোড়া কিংবা স্যান্ডউইচ—আলু দিয়ে তৈরি খাবারের তালিকা যেন শেষই হয় না। তবে অনেকের ধারণা, আলু খাওয়া ওজন বাড়ায়। কারণ, এর প্রধান উপাদান কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়।
আসুন, আলুর পুষ্টিগুণগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
১. ফাইবার:
আলুতে ফাইবারের পরিমাণ ভালোই থাকে, যা হজমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধার অনুভূতি দূরে রাখে। ফলে খাবারের পরিমাণ কমে যায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
২. স্বাস্থ্যকর শর্করা:
আলুতে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে নিয়মিত খাবার কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।
৩. ক্যালোরি কম:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ১০০ গ্রাম আলুতে মাত্র ৭৭ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন এবং ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। এতে চর্বির পরিমাণ খুবই কম। তাই এটি পেট ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করে না।
এবার দেখা যাক, কীভাবে আলু খেলে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে:
পুষ্টিবিদদের মতে, যারা ওজন কমাতে চান, তারা আলুকে স্ন্যাক্স হিসেবে কিংবা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। তবে ভাত, রুটি বা অন্য কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আলুর সঠিক সংযোজন নিশ্চিত করা জরুরি। সিদ্ধ আলু খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
তাই, তেলে না ভেজে স্বাস্থ্যকর উপায়ে আলুকে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন এবং সঠিক নিয়ম মেনে খান। সেক্ষেত্রে এটি ওজন কমানোর দারুণ সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে।
Leave a Reply