সাপের চেয়ে ‌‘ভয়ংকর’ প্রাণী আপনার ঘরেই আছে!

রাসেলস ভাইপার। ভয়ংকর এক নাম। কিছুদিন ধরে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিষধর এই সাপ। কিন্তু আপনি হয়তো কল্পনাও করতে পারছেন না যে, সাপের চেয়েও ‌‘বিপজ্জনক’ প্রাণী আপনার ঘরেই বসবাস করছে!

বিশ্বজুড়ে কোন প্রাণীর আক্রমণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়? অনেকের মাথায় হয়তো সাপ থেকে শুরু করে বাঘ, সিংহ কিংবা কুমিরের নাম আসবে। কারণ, এই প্রাণীগুলো কতটা ভয়ংকর সে ধারণা সবার আছে। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই এককভাবে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক খ্যাতনামা সাময়িকী ‘বিবিসি সায়েন্স ফোকাস’ দশটি প্রাণীর তালিকা তৈরি করেছে, যেগুলো মানুষের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী। আর বিস্ময়কর হলেও সত্যি, এই তালিকায় শীর্ষে আছে খোদ মানুষ!

গত নভেম্বরে তালিকাটি প্রকাশ করে ‘বিবিসি সায়েন্স ফোকাস’। এতে সাময়িকীটি জানিয়েছে, মানুষের জন্য সবচেয়ে ঘাতক প্রাণী হলো মশা। প্রতিবছর মশার কামড়ে অর্থাৎ মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ লাখ ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

মশার পরই মানুষের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী স্বয়ং মানুষ। বিবিসি সায়েন্স ফোকাস বলছে, মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি বিবেচনায় নিলে টেকনিক্যালি মানুষই নিজেদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। প্রতিবছর স্বজাতির হাতে প্রাণ যায় প্রায় ৪ লাখ মানুষের।

এরপরে আছে যথাক্রমে সাপ, কুকুর, অ্যাসাসিন বাগ (এক ধরনের পতঙ্গ), কাঁকড়াবিছা বা বৃশ্চিক, কুমির, হাতি, জলহস্তী এবং সিংহ।

‘বিবিসি সায়েন্স ফোকাস’ এর তালিকায় মানুষের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী দশটি প্রাণী:

ক্রমিক প্রাণী প্রতিবছর যতো মানুষ মারা যায়
মশা ৭ লাখ ২৫ হাজার
মানুষ ৪ লাখ
সাপ ১ লাখ ৩৮ হাজার
কুকুর ৫৯ হাজার
অ্যাসাসিন বাগ ১০ হাজার
কাঁকড়াবিছা ৩ হাজার ৩০০
কুমির এক হাজার
হাতি ৬০০
জলহস্তি ৫০০
১০ সিংস ২০০
দেশে হঠাৎ করে বেশি বেশি বিষধর সাপের উপদ্রবের খবর সামনে আসায় অনেকেই হয়তো ধারণা করেছিলেন, সাপই মানুষের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী। কিন্তু বিবিসি সায়েন্স ফোকাস এর এই তালিকা বলছে, ধারণাটি সঠিক নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন; যার মধ্যে প্রায় ৮১ হাজার থেকে এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যান। এছাড়া যারা প্রাণে বেঁচে যান তাদের মধ্যে কয়েক লাখ মানুষ অঙ্গহানি, পঙ্গুত্বসহ শারীরিক ও মানসিক নানা ক্ষতির মুখে পড়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *