অবশেষে সব বিতর্ক শেষ করে সূর্যকুমার স্পষ্ট করে বললেন ক্যাচটি ছক্কা না আউট ছিল!

শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোয়োজন ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার করা প্রথম বলটাকে উড়িয়ে মারেন মিলার, যা লং অফ বাউন্ডারি সীমানার কাছে দারুণভাবে লুফে নেন সূর্যকুমার। তাতে মিলারের বিদায়ের সঙ্গে জয়ের সমীকরণও কঠিন হয় প্রোটিয়াদের। গুরুত্বপূর্ণ এই ক্যাচ ঘিরে জন্ম নিয়েছে বিতর্কও।

ওই ক্যাচ নেওয়ার সময় সূর্যকুমার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সীমানার বাইরে চলে যান, তবে তার আগেই বল শূন্যে তুলে দিয়ে মাঠে ঢুকে ফের লুফে নেন ক্যাচটি। পরে রিপ্লে পরীক্ষা করে সেটিকে আউট বলে সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। কিন্তু সেই আউট দেওয়ার সময় সীমানা দড়ির দিক থেকে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল দেখানো হয়নি। সেটি দেখানো হলে আর কোনো সংশয় থাকত না বলে মনে করছেন ক্রিকেটভক্তদের অনেকেই।

ওই সময় মিলার আউট না হলে, সেটি ছয় বলে গণ্য হতো। ফলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হলেও হতে পারত। তখন সমীকরণ দাঁড়াতো ৫ বলে ১০ রানের। শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়ারা ৭ রানে হেরেছে। তবে ম্যাচের ফল নির্ধারণকারী আউটটির সিদ্ধান্ত নিতে কেন আম্পায়ার বাড়তি সময় নিলেন না, তা নিয়েই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এ ছাড়া রিপ্লেতে সীমানা দড়িটিও কিছুটা সরে গেছে বলে দেখা যায়, কারণ ঘাসের ওপর বাউন্ডারি লাইনে সাদা দাগ স্পষ্ট। সেই দাগের ওপরই পা ছিল সূর্যকুমারের, যা ক্যাচ ঘিরে ওঠা বিতর্ককে আরও উসকে দিচ্ছে।

ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে আলাপে ওই সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে সূর্যকুমার বলেন, ‘এখন বলাটা সহজ। কিন্তু ম্যাচের ওই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, ট্রফিটাই বাউন্ডারি পার হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের সময়ে যেটা হয় যে বল যাতে ছয় না হয়, সেই চেষ্টা করা। আমার যতটুকু সাধ্যে ছিল, আমি চেষ্টা করেছি।

‘বাতাস আমার কাজ কিছুটা সহজ করে দিয়েছে। আর অনুশীলনে এ ধরনের ক্যাচ নিয়ে ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে আমরা প্রচুর কাজও করেছি। ম্যাচের দরকারি সময়টায় মাথা ঠিক রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমার মনে হয়না এই ক্যাচ নিয়ে সমালোচনার কিছু আছে। কারণ ক্যাচটি বৈধ ছিল’-যোগ করেন সূর্যকুমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *