আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি আরও জোরালো হয়েছে। বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন ও নেতারা বেতন বৃদ্ধি, সরকারি করণ এবং জাতীয়করণসহ নানা বিষয় নিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। তবে এই বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
সম্প্রতি, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এক সাক্ষাৎকারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক সরকার থাকাকালীন এ বিষয়ে কিছু করা হয়নি, তবে বর্তমানে যা কিছু দেওয়া হচ্ছে, তা একেবারে অপ্রতুল। এই কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল। পে কমিশন প্রতিষ্ঠা করে আগামীতে বেতন বৃদ্ধি করা হবে, তবে আপাতত পে স্কেল বা বেতন কাঠামো পরিবর্তন আমাদের কাজ নয়। এটি রাজনৈতিক সরকারের সিদ্ধান্ত হবে এবং পে কমিশনের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়িত হবে, যেটি ২০১৫ সালে শেষ হয়েছিল।”
তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকার কিছু সীমিত পদক্ষেপ নিচ্ছে, কিন্তু বেতন স্কেলের ব্যাপক পরিবর্তন চিন্তা করা হচ্ছে না। “বর্তমানে স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ওভারটাইম এবং অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
এছাড়া, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে সরকারি খাতে বরাদ্দ কমানো হবে না, বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ এবং আইটি খাতগুলোর জন্য বরাদ্দ অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, দেশের আন্তর্জাতিক অর্থদাতা সংস্থাগুলি, যেমন বিশ্বব্যাংক, সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে যে এই খাতগুলোতে বরাদ্দ কমানো যাবে না, বরং এই খাতগুলোর জন্য আরো সহায়তা পাওয়া যাবে।
সব মিলিয়ে, যদিও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না, তবে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে, বিশেষত শিক্ষকদের জন্য, সীমিত পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।
Leave a Reply