ওষুধ চলাকালীন যেসকল খাবার বিপদ বাড়ায়!

শারীরিক যেকোনো সমস্যা হলেই আমরা চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে থাকি। বেশিরভাগ সময় চিকিৎসকরা বলে দেন, ওষুধ চলাকালীন কোন কোন খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। আবার অনেক সময় বলেন না বা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না। অনেকে আবার ডাক্তারের কথাও পাত্তা দেন না, যা একদমই ঠিক নয়।

এমন কিছু ওষুধ এবং খাবার সম্পর্কে আজ জানবো, যা একসঙ্গে কখনোই খাওয়া যায় না-

অ্যান্টিবায়োটিক এবং দুগ্ধ জাতীয় পণ্য: দুগ্ধ জাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা পরিপাক তন্ত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে আবদ্ধ হতে পারে এবং অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই টেট্রাসাইক্লাইন্স এবং ফ্লুরোকুইনলোনস জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে ব্যাপারে কখনোই দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাবেন না। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর আপনি যদি দুধ খান তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক আপনার শরীরে কাজ করতে পারবে না।

কলা এবং ব্লাড প্রেসারের ওষুধ: ব্লাড প্রেসারের কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অথবা পরে কলা খাওয়া যাবে না। কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসারের ওষুধের সঙ্গে আপনি যদি কলা খান তাহলে আপনার অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, পক্ষাঘাত অথবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে।

স্ট্যানিন ও আঙুর: আপনি যদি স্ট্যানিন, ক্যালসিয়াম, সাইকিয়াট্রিক ওষুধ খান সেক্ষেত্রে আঙুর খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এই ওষুধ গুলি খাওয়ার সময় যদি আপনি আঙুর খান তাহলে আপনার রক্তচাপ কমে যাবে, পেশিতে ব্যথা সৃষ্টি হবে, কিডনি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।

পেইন কিলার এবং অ্যালকোহল: যে কোনো ধরনের পেইন কিলার ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে আপনি যদি অ্যালকোহল খান তাহলে আপনার ব্যথার সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। অ্যালকোহল ওষুধের সঙ্গে মিশে লিভারের ক্ষতি করে এবং রক্তচাপের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কোনও ভাবেই পেইন কিলারের সঙ্গে অ্যালকোহল পান করা যাবে না।

নার্ভের ওষুধ এবং চকলেট: আপনি যদি ফেনেলজাইন, ট্রেইনাইলসিপ্রোমিন জাতীয় ওষুধ খান সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে চকোলেটের বিষয়টি। চকলেটে থাকে টাইরামাইন, অন্যদিকে নার্ভের ওষুধ টাইরামাইনকে শরীরে জমা করতে থাকে। এই দুটি একসঙ্গে খেলে আপনার রক্তচাপের অস্বাভাবিকতা, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, মাথা ব্যথার মত গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ওয়ারফারিন এবং শাক: আপনি যদি ওয়ারফারিন খান, সেক্ষেত্রে শাক খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে। একদিকে শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ওয়ারফারিন খেলে রক্ত জমাট বাঁধে না সঠিকভাবে। স্বাভাবিকভাবেই এই দুটির কার্যকারিতা একেবারে বিপরীত হওয়ার কারণে এই দুটি যদি আপনি একসঙ্গে খান সেক্ষেত্রে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *