জানা গেলো পাটক্ষেতে কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে থাকার রহস্য!

দুপুরে গোসল শেষে কাপড় বদলানোর সময় মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে ধ;র্ষ;ণের পর হ;ত্যা করা হয় রেখা নামে ১৫ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে। এই ধ;র্ষ;ণ ও হ;ত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারই চাচাতো ভাই শাহাদাত মাতুব্বর (১৬)। এ ঘটনায় জড়িত শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ তথ্য জানান।

গত শুক্রবার (২৮ জুন) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হোগলাকান্দী সদরদি গ্রামের আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে রেখা আক্তারের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয় বাড়ির পাশের পাটক্ষেত থেকে। এ ঘটনার একদিন পর ভাঙ্গা থানায় একটি ধ;র্ষ;ণ ও হ;ত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট মাঠে নামে রহস্য উদঘাটনে। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায় রেখা। গোসল শেষে কাপড় বদলানোর সময় প্রতিবেশী চাচাতো ভাই শাহাদাত সেখানে যান। তিনি মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে ফুঁসলিয়ে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যান। পরে সেখানে অশ্লীল ছবি দেখিয়ে রেখাকে ধ;র্ষ;ণ করেন। এরপর রেখা একথা তার বাবাকে বলে দেবেন বলে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে পরনের স্যালোয়ার কামিজ গলায় দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে হ;ত্যা করা হয়। এরপর বিকেলে পাটক্ষেতে রেখার মরদেহ পড়ে থাকার কথা জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় রেখার পরনের স্যালোয়ার কামিজ, পরনের ওড়না এবং শাহাদাতের একটি স্মার্টফোন, একটি জার্সি ও হাফ প্যান্ট। পরে শাহাদাত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ, ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তুহিন লস্কর, ডিবির ওসি (কোতয়ালী জোন) আব্দুল মতিন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *