আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল শক্তি নিয়ে এটি বার্বাডোসে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ক্যারিবীয় দেশটির বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আর বাতিল করা হয়েছে বহু ফ্লাইট। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো এই ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে কয়েকটি দেশে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় বেরিলের কারণে বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস অ্যান্ড টোবাগোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার সতর্কতা জারির পর ক্যারিবীয় অঞ্চলটির বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনের প্রধানমন্ত্রী রাল্ফ গনসালভেস ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতীতের ধ্বংসযজ্ঞের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এটা কোনো রসিকতা নয়।’
সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভাষণে গনসালভেস জানান, তিনি তার বেসমেন্টে আশ্রয় নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ছাদ, বিশেষ করে ছাদের পুরানো অংশ ১৫০ কিলোমিটার বেগের বাতাস থেকে রক্ষা পাবে না। আমি বেসমেন্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ক্যাটাগরি চারে রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেরিলের শক্তি ওঠানামা করছে। রোববার স্থানীয় সময় রাতে ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো এই ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমায় একে ক্যাটাগরি-৩ এ নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলেছে, বেরিলের শক্তি ওঠানামা চলছে। তবে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন স্থানকে ‘সম্ভাব্য বিপর্যয়কর বাতাসের ক্ষতির’ জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।
Leave a Reply