সব ঋতুতেই চুল পড়ে। তবে বর্ষায় বেশিরভাগ মেয়েদের একটাই চিন্তা। আমার চুলের কী হবে! কারণ, কাজের জন্য তো কমবেশি সকলকেই বাইরে বেরোতে হয়। আর বৃষ্টিতে চুল ভিজলে চুলের অবস্থা বেহাল হয়ে যায়। আবার চুল পড়ছে বলে যদি সারাক্ষণ চিন্তা করতে থাকেন, তাতেও বিপদ বাড়বে। তবে এই সব থেকে চুলকে বাঁচাতে উপায় তো অবশ্যই কিছু আছে। ঘরোয়া টোটকাতেও চুল পড়ার হার কমানো যায়। কালোজিরা এ ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর। কিন্তু মাথার ত্বকে কালোজিরা কী ভাবে মাখবেন?
১. কালোজিরা এবং নারকেল তেল
কড়াইতে আধা কাপ নারকেল তেল গরম করুন। তার মধ্যে এক টেবিল চামচ কালোজিরা মিশিয়ে নিন। একেবারে অল্প আঁচে ফুটিয়ে নিন। খেয়াল করবেন, তেলের রং ধীরে ধীরে বদলাতে থাকবে। তারপর গ্যাস বন্ধ করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার কাচের পাত্রে ঢেলে রাখুন। গোসলের আগে সেই তেল মাথার ত্বকে মেখে রাখুন। ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক সপ্তাহ পর নিজেই তফাত বুঝতে পারবেন।
২. কালোজিরা এবং লেবুর রস
কালোজিরার তেলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। গোসলের আগে আধা ঘণ্টা এই মিশ্রণ মেখে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। বর্ষাকালে মাথার ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। চুল পড়াও কমবে।
৩. কালোজিরা এবং হেনা
শুকনো খোলায় কালোজিরা হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। মেহেদি পাতার গুঁড়োর সঙ্গে কালোজিরার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার যেমন ভাবে চুলে হেনা করেন, তেমন ভাবেই করুন। এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নতুন চুল গজাবে, অকালপক্বতাও রোধ করবে।
৪. জলপাই এবং কালোজিরা তেল
এই দুই তেলে পাওয়া অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল যৌগ। যা চুল পড়া রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ব্যবহারের জন্য একটি পাত্রে জলপাই এবং কালোজিরার তেল মিশিয়ে নিন। এবার মাথার টাক বা কম চুল রয়েছে সেসব স্থানে লাগিয়ে ম্যাসেজ করুন। এ তেলের মিশ্রণ নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পড়ার সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৫. আপেল সিডার ভিনেগার এবং কালোজিরার তেল
চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও খুশকিমুক্ত করতে আপেল সিডার ভিনেগারের তুলনা নেই। যদি আপনি এটি কালোজিরা সঙ্গে ব্যবহার করেন; তাহলে এর পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যাবে। চুলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এ মিশ্রণটি।
Leave a Reply