free tracking

বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয়দের পালানোর হিড়িক!

ভারতীয়দের বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাস এবং তাদের চাকরির সম্ভাবনার ব্যাপারে নানা আলোচনা হয়েছে,তবে পতিত সরকারের সময়ে কোন ধরনের পদক্ষেপ তো দূরের কথা, তাদের অস্তিত্বই স্বীকার করেনি তারা। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বিদেশী নাগরিকদের বসবাস, বিশেষ করে ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের বসবাসের বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচনা এবং সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা এসেছে, কিন্তু তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দৃশ্যমান ছিল না।

এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে বাংলাদেশে ৫০,০০০ বিদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বসবাস করছিল।গত ডিসেম্বর মাসে তাদের আবেদন করে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৫,৬১৮ জন নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে যান। এখনো ৩৩,৬৪৮ জন বিদেশী নাগরিক অবৈধভাবে এই দেশে অবস্থান করছে। অবৈধ এই নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে ১১ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিআইপি ভিসা শাখা সূত্র থেকে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর বৈধ ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশী নাগরিকদের নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে সতর্ক করা হয়, ভিসার মেয়াদ না বাড়ালে বা নবায়ন না করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে বা নবায়ন করতে ১৫,০০০ আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয়। এছাড়া চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকও রয়েছেন। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্র থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের মধ্যে ২৭,০০০ নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশীদের মধ্যে চীনের নাগরিকরা দ্বিতীয় স্থানে ছিল। প্রায় ১০,০০০ চীনা নাগরিকের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।

ডিআইপির ভিসা শাখার তথ্যমতে, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এই বিদেশীদের বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে জরিমানা দিয়ে ভিসা নবায়ন করতে হবে, কিংবা আইনি জটিলতার ঝুঁকি নিতে হবে।এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার দেশের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকবে। তবে, এ ধরনের সমস্যাগুলির সমাধানে স্বচ্ছতা, কঠোরতা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এসব সমস্যা পুনরায় সৃষ্টি না হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *