ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টারে ছিলেন না, তিনি সড়কপথে তাবরিজ যাওয়ার পথে রাষ্ট্রীয় গাড়িবহরে ছিলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদক আলী হাসেম জানিয়েছেন, আমরা এখন জানতে পেরেছি, এটি সত্য নয়।
অন্যান্য প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টারে থাকা কেউ বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তা সত্য নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে।
বড় প্রশ্ন হচ্ছে জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের জন্য স্যাটেলাইট ফোন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিল কিনা। আমরা এখন যা জানতে পেরেছি তা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং সবাই তাকে খুঁজছে।
প্রথমে কী ঘটেছে তা বর্ণনা করতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা জানি না প্রেসিডেন্টের ভাগ্যে ঠিক কি ঘটেছে। আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নেই। আমরা ইরানের সংবাদমাধ্যম ও উৎসের উপর নির্ভর করছি। তারা সবাই এখন একত্রিত হয়ে রাইসিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে, ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান প্রদেশে একটি বাঁধ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখান থেকে ফেরার পথে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভারজাকান এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
ওই হেলিকপ্টারে রাইসির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের নেতা হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় উদ্ধারকর্মী দল পাঠানো হয়েছে। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। তবে বৈরী আবহাওয়াসহ কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ার কারণে তল্লাশি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
Leave a Reply