র্যাবের চলমান বিশেষ অভিযান “অপারেশন ডেভিল হান্ট” এর আওতায় এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বস্ত্র উপকমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম লিটন। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পরবর্তী প্রক্রিয়াদারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হোসেন জানান, র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের পর দারুস সালাম থানায় হস্তান্তর করে। পরদিন সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ তাকে মিরপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়। পরে দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কী অভিযোগে গ্রেপ্তার?রফিকুল ইসলাম লিটন বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট ও সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারসম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী “অপারেশন ডেভিল হান্ট” নামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানের আওতায় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশে চলমান দুর্নীতি দমন এবং অপরাধ দমন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে, তবে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না, সে বিষয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এদিকে, আওয়ামী লীগ বা সরকারের পক্ষ থেকে রফিকুল ইসলাম লিটনের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে জনসাধারণ।
Leave a Reply