free tracking

চোখে ঝাপসা দেখছেন? রাসূল (সা:) এর যে দোয়া পড়ে ফুঁ দিবেন!

রাসুল (সা:) এর এই দোয়াটি পড়ে চোখে ফু দিন। ইনশাআল্লাহ চোখের যে কোন সমস্যা তাৎক্ষণিক দূর হয়ে যাবে। মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের দিকে চেয়ে থাকা আজকাল আমাদের জীবনের স্বাভাবিক চিত্র হয়ে গেছে। মানুষ অনেকটা কম্পিউটার বা মোবাইলের উপরে অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে গেছে। রাতেও অনেকে মোবাইল ফোনের জন্য জেগে থাকে। তাই এখন যতক্ষণ মানুষ জেগে থাকে তার প্রায় সবটুকু সময় কোন না কোন ডিভাইসের পর্দায় থাকে।

গেম খেলা, ভিডিও দেখা, অফিসের কাজ, অনলাইন মিটিং সবই এখন মোবাইল বা কম্পিউটারে হয়। সবমিলিয়ে চোখের উপরে প্রতিদিন প্রচুর চাপ যাচ্ছে। আবার সেগুলো বাদ দিয়ে মানুষ সময়ও কাটাতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে চোখের উপর চাপ কমানো যায় এবং যত্ন নেয়া যায়, মহানবী (সা:) চোখের যত্নে কোন দোয়া পড়তেন সবকিছু আমরা আজকে জানবো।

১. বিরতি পদ্ধতি অনুসরণ করা: একটানা লম্বা সময় বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের উপর চোখের উপর চাপ বেড়ে যায়। চোখের পর্দার পানি শুকিয়ে যায়। তাই স্ক্রিনের সামনে থাকলে প্রতি ২০ মিনিট পর অন্তত ২০ ফিট দূরে সরে গিয়ে অন্যকিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকবেন। আর এই অভ্যাসটি অবশ্যই করতে হবে। এই নিয়মটি মেডিকেল সাইন্সে ত্রিপল টোয়েন্টি নামেও পরিচিত। অত্যন্ত কার্যকর এই চোখের ব্যায়াম আপনার চোখের ৮০% ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিবে। গবেষকরা বলেন, এতে চোখ বিশ্রাম পাবে ও এবং চোখের উপর ধকল কমবে।

২. চোখের পলক ফেলার পদ্ধতি: বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক ফেলার মাত্রা কমে যায়। আর এই কারণেই মূলত চোখ শুষ্ক হয়ে যায়৷ পলক ফেলার মাধ্যমে চোখ আদ্রতা পায়। শুষ্ক ও জ্বালাপোড়া কমে যায়। তাই চোখের পলক ফেলার পরিমাণ নিজ থেকে বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

৩. খাদ্য তালিকায় প্রচুর মাছ রাখুন: এতে প্রচুর ওমেগা থ্রি আছে। ওমেগা থ্রি ওয়েলের কাজ হলো চোখ পিচ্ছিল রাখে ও চোখের আদ্রতা জোগায়।

৪. চোখকে আরাম দিন: দুই হাতের তালু ঘষে তাপ উৎপন্ন করে তা দুচোখে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এতে চোখের জ্বালাপোড়া কমে যাবে এবং চোখ আরাম বোধ করবে।

৫. আমরা সাধারণত কাছের জিনিসে দৃষ্টি দিতে অভ্যস্ত: তাই মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ দূরের জিনিসে দৃষ্টি দিন। চলতে-ফিরতে, হাটতে-বসতে অনেক দূরের বস্তুর দিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করুন।

৬. সূর্যের আলো আমাদের চোখের ফ্রি চিকিৎসা দেয়: অনেকেই আমরা এটা জানি না। তবে তা প্রখর রোদে নয়। খুব সকালে যখন সূর্য উদিত হয়। তখন আপনি সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। অথবা শেষ বিকেলে সূর্য যখন অস্ত যায় তখনও কিছু সময় সূর্যের আলোতে তাকিয়ে থাকুন অথবা দাঁড়িয়ে থাকুন। এতে করে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। যা আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ভিটামিন ডি অন্য কোন উৎস থেকে পাওয়া যায় না। শুধু সূর্যের আলো থেকেই এটি আসে।

৭. অনেকেই চোখে ঝাপসা দেখেন, সেক্ষেত্রে পানির ঝাপটা নিয়ে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। শুষ্ক অবস্থার কারণে সাধারণত এই অবস্থা হয়।

৮. আদ্রতা বিহীন বাতাস থেকে চোখ দূরে রাখুন। শুকনো বাতাস চোখের বাষ্প শুষে নেয়। তাই এসির বাতাস থেকে চোখ আগলে রাখুন।

৯. সুযোগ পেলেই চোখে পানি দিন: মুখ দোয়ার সময় চোখে বেশি বেশি পানি দিন। এতে চোখের ধুলো পরিষ্কার হবে এবং যারা নিয়মিত নামাজ পড়েন তাদের জন্য এই কাজটি সহজ। ওযু করার সময় চোখে একটু বেশি পানির ঝাপটা দিন।

১০. কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও মোবাইলের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন।

১১. ধূমপান চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চোখ ভালো রাখতে চাইলে ধূমপান করা যাবে না। এছাড়া নারীদের জন্য চোখের মেকাপ দূরে রাখতে হবে।

১২. প্রচুর পালংশাক খান: এতে বহু ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা চোখের নানান সমস্যা দূর করে দিবে। পালংশাক চোখের জন্য অন্যতম একটি ঔষধ।

রাসূল (সা:) যে দোয়া পড়তেন চোখের। এতে করে চোখ-কান-জবান, অন্তর ইত্যাদির ব্যধি থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারব।

দোয়াটি হচ্ছে: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি ওয়া শাররি বাসারি ওয়া শাররি লিসানি ওয়া শাররি ক্বালবি ওয়া শাররি মানয়্যি। (অর্থাৎ, হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে আমার কানের অপকারিতা, চোখের অপকারিতা, জবানের অপকারিতা অন্তরের অপকারিতা এবং আমার লজ্জাস্থানের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই।) আবু দাউদ: হাদিস নাম্বার ১৩৮৭।

দোয়াটি আপনারা যে কোন নামাজের পরে ওযু অবস্থায় ৩ বার পড়ে দুইহাত একত্র কারে তাতে ফুঁ দিয়ে মোনাজাতের মত করে দুচোখে হাত বুলিয়ে দিবেন।

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1EoaVjah6f/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *