free tracking

ফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি-ভিডিও নিয়ে ভয়? নিরাপদে রাখতে ৫ নিয়ম!

আজকাল প্রায়ই ফোন হ্যাকড হওয়ার মতো কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলে থাকেন, ফোন থেকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য চুরি হয়ে গেছে। কারও কারও আবার ফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্যও দুষ্টু চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এ অবস্থায় বিপাকে পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে।

এ ধরনের ঘটনা ঘটনার আগে ফোন ব্যবহারকারীকে সতর্ক হতে হয়। সাধারণত ম্যালওয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে সাইবার হামলা হয়ে থাকে। এ জন্য আগেই ফোনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে নেয়া উচিত। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। এবার তাহলে ফোনের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।

অন্তত সপ্তাহে একবার ফোন রিস্টার্ট করা: ফোনে থাকা যাবতীয় সব নিরাপদে রাখতে সপ্তাহে অন্তত একবার ফোন বন্ধ করে ফের চালুর পরামর্শ দিয়ে থাকেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এতে ‘জিরো ক্লিক এক্সপ্লয়েট’ নামক সাইবার হামলা থেকে ফোন নিরাপদ রাখা যায়। জিরো ক্লিক এক্সপ্লয়েট হচ্ছে ব্যবহারকারী কোনো কিছুতে ক্লিক না করলেও দুষ্টু চক্ররা দূর থেকেই প্রবেশ করতে পারে ফোনে। এ জন্য সপ্তাহে অন্তত একবার ফোন বন্ধ করে ১০ সেকেন্ড পরিমাণ অপেক্ষা করে চালু করা ভালো।

ব্লুটুথ কানেকশন বন্ধ রাখা: অনেকেই প্রয়োজন ছাড়াই ফোনের ব্লুটুথ কানেকশন চালু রাখেন। এতে সহজেই সাইবার অপরাধীরা নানাভাবে ফোনে প্রবেশের সুযোগ পান। বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে এ যাবতীয় ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে হ্যাকারদের শনাক্ত থেকে দূরে থাকা ও ফোন নিরাপদে রাখতে ব্লুটুথ নাম পরিবর্তন করে (যেমন: ডিভাইস ১২৩) রাখতে পারেন। আর প্রয়োজন না হলে ব্লুটুথ কানেকশন বন্ধ রাখলে ব্যাটারির স্থায়ীত্বও বাড়ে।

পাবলিক ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার না করা: রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে ক্যাফেটেরিয়া, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গাতেই পাবলিক ইউএসবি চার্জিং পোর্ট দেখা যায়। যা অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। এসব পাবলিক ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে এনএসএ। এসব পোর্ট ব্যবহারে বিপদ হতে পারে। এসব পোর্টের মাধ্যমে হ্যাকাররা ‘জুস জ্যাকিং’ নামের এক ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে ফোনে ম্যালওয়ার প্রবেশ করাতে পারে কিংবা ফোনে থাকা প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। এ জন্য পাবলিক ইউএসবি চার্জিং পোর্ট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।

পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক এড়িয়ে চলা: ক্যাফেটেরিয়া, বিমানবন্দর, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে উন্মুক্ত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। যা অনেকেই ফ্রি মনে করে ব্যবহার করেন। এতে ফোনের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি থাকে। আর হ্যাকারদেরও সহজ লক্ষ্য থাকে এসব পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের ফোন। কখনো কখনো প্রতারকরা ফাঁদ হিসেবে ‘ফ্রি ওয়াই-ফাই’ নামে ভুয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এসব নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে হ্যাকাররা সহজেই আপনার ফোন নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে এবং পরবর্তীতে ফোনে থাকা ব্যক্তিগত সব তথ্য চুরি করতে পারে। এ জন্য পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করাই ভালো। আর অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করতে পারেন।

মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা নিরাপদে রাখা: ফোনের অন্য সব বিষয়ের মতো ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনও সুরক্ষিত রাখা উচিত। হ্যাকাররা অনেক সময় হট-মাইকিং নামে এক ধরনের সাইবার হামলার মাধ্যমে ফোনের মাইক্রোফোন গোপনে চালু করে আপনার আলাপচারিতা শুনে নিতে পারে। আবার ম্যালওয়ার বা ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করেও সহজেই করা যায় কাজটি। এ জন্য কয়েকদিন পরপর ফোনের অ্যাপ পারমিশন ক্ষতিয়ে দেখা উচিত। এছাড়া অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যামেরা কভার ও মাইক্রোফোন ব্লকার ব্যবহার করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *