free tracking

শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর, নেওয়া হলো যে উদ্যোগ!

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন মাত্রা পেয়েছে, যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরাসরি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তাদের আন্দোলন আরও বেগবান করার ঘোষণা দিয়েছে। আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতিকে দুই দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা একত্রিত হয়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন এবং “সেকেন্ড রিপাবলিক” ঘোষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

রাষ্ট্রপতির অপসারণে ছাত্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারিবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম স্পষ্ট করেছেন যে, রাষ্ট্রপতিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চান না তারা। তারা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন,

“আমরা রাষ্ট্রপতিকে দুই দিনের মধ্যে পদত্যাগে বাধ্য করব। আমাদের দাবি বাস্তবায়িত না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রাষ্ট্রপতিকে “জনগণের স্বার্থবিরোধী” বলে অভিহিত করেছেন এবং তার অপসারণ নিশ্চিত করতে দেশের তরুণ সমাজকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিএনপি পাশে থাকার ঘোষণা দিলেও নির্দিষ্ট সময়সীমা দিচ্ছে নাআন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতারা বিএনপির সঙ্গে আলোচনার পর জানিয়েছেন, তারা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের জন্য বিএনপির সমর্থন প্রত্যাশা করে। তবে, বিএনপি এখনো রাষ্ট্রপতির অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে চায় না।

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতারা বলেছেন,

“আমরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চাই। তবে কখন কীভাবে তা অর্জন করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করিনি।”

এতে বোঝা যাচ্ছে যে, বিএনপি আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি নৈতিক সমর্থন দিচ্ছে, তবে কৌশলগত কারণে এখনই সময়সীমা নির্ধারণ করতে চাইছে না।

জাতীয় নাগরিক কমিটির অবস্থান: “সেকেন্ড রিপাবলিক” গঠনের আহ্বানরাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিকে আরও জোরদার করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী। তিনি বলেন,

“রাষ্ট্রপতিকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। আমরা এমন একটি সরকার চাই, যেখানে বৈষম্যের কোনো স্থান থাকবে না। দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র (Second Republic) ঘোষণা করতে হবে।”

জাতীয় নাগরিক কমিটির মতে, বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক কাঠামোতে বৈষম্য ও দমনমূলক নীতি চালু রয়েছে, যা পরিবর্তন করতে হলে একটি নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রয়োজন।

সরকারের প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎসরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের জন্য সাংবিধানিক কোনো ব্যবস্থা বা উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপির মধ্যে যদি আরও সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে ওঠে, তবে সরকারকে ব্যাপক চাপে পড়তে হবে।”সেকেন্ড রিপাবলিক” ধারণাটি দেশে নতুন একটি রাজনৈতিক আলোচনার সূত্রপাত করেছে, যা ভবিষ্যতে বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে।শেষ কথাবাংলাদেশের রাজনীতি এখন উত্তপ্ত। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি নিয়ে ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা সরকারকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। আগামী দুই দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে, আন্দোলন আরও সহিংস বা বিস্তৃত আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এখন সবার নজর সরকারের প্রতিক্রিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *