নিজস্ব প্রতিবেদক : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের শক্তিমত্তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে যাচ্ছেন। তবে বাস্তবতা কী বলছে?
বাংলাদেশ কি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল?প্রাকৃতিকভাবে, একজন অধিনায়কের উচিত তার দলের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকা। শান্তর ইতিবাচক মনোভাব প্রশংসনীয়, তবে বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ দল এখনো বিশ্বসেরাদের কাতারে ওঠেনি। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলছে, বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে, তবে শিরোপা জয়ের আশা বাস্তবসম্মত নয়।
দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনাবাংলাদেশের শক্তির জায়গা হলো স্পিন আক্রমণ, বিশেষ করে দুবাইয়ের মতো কন্ডিশনে। অফস্পিনার ও বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনাররা সেখানে কার্যকর হতে পারেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে জাসপ্রিত বুমরাহ না থাকায় কিছুটা সুবিধা পেতে পারে বাংলাদেশ।
তবে বড় প্রশ্ন হলো—বাংলাদেশের ব্যাটিং ও বোলিং গভীরতা কতটা কার্যকর হবে?
দুর্বলতার জায়গা: ষষ্ঠ বোলিং অপশন ও ব্যাটিং গভীরতাবাংলাদেশ সাধারণত আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলে, কিন্তু এই কৌশল বোলিং বিভাগকে দুর্বল করে তোলে। বিশেষ করে, ষষ্ঠ বোলিং অপশনের অভাব বড় একটি সমস্যা। মেহেদী হাসান মিরাজ গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ফ্ল্যাট উইকেটে তার কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। অতীতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ যখন রান ডিফেন্ড করতে যায়, তখন মাঝের ওভারে উইকেট নিতে না পারার কারণে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়।
সাকিব আল হাসান থাকলে এই সমস্যা থাকত না, কারণ তিনি একজন পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডার। এখন মিরাজকে সেই ভূমিকা পালন করতে হবে। বিপিএলে তার আগ্রাসী বোলিং দেখা গেছে, তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় মঞ্চে তাকে আরও সাহসী হতে হবে।
বাস্তবতা বনাম প্রত্যাশাবাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন হয়তো বাস্তবসম্মত নয়, তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ প্রবল। এর জন্য দরকার স্পিন বোলিং ইউনিটের কার্যকর পারফরম্যান্স ও মিডল-অর্ডারের ধারাবাহিকতা।
Leave a Reply