free tracking

আজকের ম্যাচেও পুরনো রুপেই বাংলাদেশ, অলআউট ২০২ রানে!

প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই চাপহীন ব্যাটিং করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু বাংলাদেশ যেন পুরনো অভ্যাস ছাড়তে পারে না কোনোভাবে। যার ফল মূল ম্যাচে তো বটেই, প্রস্তুতি ম্যাচেও ব্যাটিং ধসে পড়েছে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচেও ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি।

পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটা সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া বাংলাদেশ হঠাৎই ব্যাটিং ধসে পড়ে। শেষে যা হওয়ার আজও তা-ই হয়েছে। টেনেটুনে ২০২ রান করতে পেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতটাই ছন্নছাড়া ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ ১১.৪ ওভার বাকি ছিল ইনিংসের।

দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। বিপিএলের উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আউট হন দলীয় ও ব্যক্তিগত ৬ রানে। শুরুর ধাক্কা সামলাতে মাঠে আসেন অধিনায়ক শান্ত।

সৌম্য সরকারের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়ে ধাক্কাটা সামলানও শান্ত।

তবে অধিনায়ক নন, দারুণ শুরু করা সৌম্যই ছিলেন জুটির মূল নায়ক। তবে ১৩ রানের ব্যবধানে দুজনই ফিরে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন। রানে ফিরতে মরিয়া শান্ত করতে পেরেছে ১২ রান। আর রান আউটে কাঁটা পড়া সৌম্য করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান।

দলীয় ৬৩ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়।

চতুর্থ উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহেরও আশা জোগাচ্ছিলেন। তবে তা হতে দেননি পাকিস্তানের লেগস্পিনার উসামা মীর। হৃদয়কে ২০ রানে ফিরিয়ে নিজের স্পিন ঘূর্ণির শুরুটা করেন। এরপর মাত্র ৭ রানে আরও ৩ ব্যাটারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস্তুপে দাঁড় করান মীর। একে একে ফেরান মুশফিকুর রহিম (৭), মিরাজ (৪৪) ও জাকের আলী অনিককে (৪)।
এতে ১৩৭ রানে ৭ ‍উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শঙ্কা জাগে ১৬০-১৭০ রান করতে পারবে কিনা বাংলাদেশ। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে বাংলাদেশকে ২০২ রান এনে দেন লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা। বিশেষ করে পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ৪ চার ও দলের একমাত্র ছক্কায় ৩০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে এই সংগ্রহ এনে দেন তিনি। ১৪ ও ১৫ রান করা রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদেরও অবদান রয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রানে ৪ উইকেটে নিয়েছে মীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *