free tracking

আলোচিত র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপকে ডাকা হতো জল্লাদ নামে!

আসামীকে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে বলে প্রথমে আসামীর স্ত্রীকে ভয় দেখানো হতো। এরপর ক্রসফায়ার থেকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত হিসেবে সামনে প্রস্তাব রাখত শারীরিক সম্পর্কের। স্বামীকে বাঁচাতে র‌্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে করতে হতো মিলন।

এভাবে ভয় দেখিয়ে রোজা ভাঙিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে আলেপ উদ্দিন নামে তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এই নারীর স্বামীকে আটকে রেখে বারবার সেই নারীকে ধর্ষন করে আলেপ উদ্দীন।

আজ বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের এক পোস্টে জানিয়েছেন,৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিলো, এসবি থেকে বদলি হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে।২০ অক্টোবর ২০২৪ পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপ’কে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এই আলেপের মতো খুনি, অপহরণকারী এবং জঘণ্য সব কর্মকান্ডে লিপ্ত অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

যেখানে সেই পোস্টে তার ২১ অক্টোবর ২০২৪ এর আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেন জুলকার নাইন।সেই পোস্টে জুলাকার নাইন লিখেছিলেন,

ডেথ স্কোয়াড র‌্যাব এর শীর্ষ খুনী সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে বরখাস্ত করা হয় তার নিজ বাহিনী থেকে এবং প্রেরণ করা হয় কারাগারে। জিয়াউলের মতো ঠান্ডা মাথার আরেক খুনী কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন। বাংলাদেশ পুলিশের এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তার সহকর্মীরা জল্লাদ বলে ডাকেন, যা তিনি নিজেই বেশ গর্ব করেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন।

৩১তম বিসিএসের কর্মকর্তা আলেপ পুলিশের চাকরি শুরু করেন ২০১৩ সালে।এর ঠিক পরের বছরেই তার পদায়ন হয় তথাকথিত এলিট ফোর্স র‌্যাব এ।র‌্যাব ১১ তে পাঠানো হয় আলেপকে। ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত র‌্যাবই চাকরীরত ছিলেন আলেপ। দায়িত্ব পালন করেছেন ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার, মিডিয়া সেল ও জঙ্গি সেল ইনচার্জ হিসেবে। জঙ্গি দমনের নামে কমপক্ষে হলেও ১০০’র বেশি মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন এই মানুষরুপী দানব।

এই দানব নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব থাকাকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীর এর পক্ষে জমি দখলের জন্য বিভিন্ন নিরীহ মানুষকে অস্ত্র দিয়ে ফাসিয়ে দিত। এ রকম এক ঘটনায় তাকে নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব থেকে বদলি করা হয় লালমনিরহাট জেলা পুলিশে কিন্তু অদৃশ্য শক্তির বলে এ আলেপ আবারও মাস দুয়েকের মধ্যে র‌্যারে ফিরে আসে। এবার র‌্যাব এ ইনটেলিজেন্স শাখায় পোস্টিং পেয়ে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিভিন্ন নিরীহ আলেমদেরকে ধরে উদ্ভট জংগী সংগঠনের নাম দিয়ে আটক করে জেলে পাঠাত। এর পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে বিপিএম ও ডাবল পিপিএম (বার)। উল্লেখ্য যে সে বিপিএম পুরস্কার পায় পুরস্কার প্রদানের আগের দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ আলাদা আদেশে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরও আলেপ উদ্দিন চাকরী করে যাচ্ছেন বহাল তবিয়তেই। বরং এসবি থেকে বদলি করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে পাঠানো হয়েছে তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *