free tracking

ছাত্রদল-শিবির সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেনঃআসিফ নজরুল

সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘাত। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দুটি ছাত্র জড়িয়েছে সংগঠন রক্তক্ষয়ী সংঘাতে। এভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে ভূমিকা রাখা এই দুটি সংগঠনের সংঘাতে জড়ানোকে খারাপ ভবিষ্যতের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এ ব্যাপারে তিনি প্যারেন্ট সংগঠনের সিনিয়রদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর আরাফাতুল উসমানীর একটি স্ট্যাটাসে শেয়ার করেন, যেখানে এই আহ্বান জানান তিনি।

তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আওয়ামী আমলে লীগের সাথে অন্য যেকোনো দল/পক্ষের মারামারি লাগলে সেখানে পুলিশ-প্রশাসন নির্লজ্জভাবে লীগের পক্ষে থাকতো। ফলে খুব দ্রুতই অপর পক্ষ রনে ভঙ্গ দিতো। কিন্তু বর্তমানে পুলিশ-প্রশাসন বিভক্ত, কোনো রাজনৈতিক দলের একক দৌরাত্ম নেই আপাতত, ডেডিকেটেড মারমুখী কর্মীসংখ্যা কাছাকাছি পরিমাণের, সব মিলিয়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির যদি এই মুহূর্তে মুখোমুখি হয়, নিশ্চিতভাবে বলা যায় কোনো পক্ষই সহজে পেছাবে না। উভয়ই নিজের অস্তিত্বের লড়াই জ্ঞান করে মারামারি করবে। হয়তো, ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণকালের সর্বোচ্চ হতাহত ও লাশ দেখতে হবে এবার।

অত্যন্ত ফ্রাস্টেটিং লাগে এসব দেখে। ভয় জিনিসটা কখনো আমি ফিল করিনি কোনো ব্যাপারে, জেদের কারণে নাকি আমার মাথায় সমস্যা জানি না, যেকোনো হুমকিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি সবসময়। কিন্তু নিজের ভাইদের যখন দেখি একে অন্যের রক্তের নেশায় মাতে, তখন সত্যিকারের ভয় লাগে, আতঙ্ক লাগে, সবচে বেশি হতাশ লাগে। এখানে যে পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হোক, সে তো আমার ভাইই, ৬ মাস আগেও একসাথে টিয়ার গ্যাস রাবার বুলেট খেয়েছি। এখন এসে তাদের মধ্যে হওয়া গ্যাঞ্জাম কোনোভাবেই বিন্দুমাত্র সুখকর কিছু হতেই পারে না।

ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির যেভাবে নিজ নিজ অফিশিয়াল প্যাডে একে অন্যের নাম উল্লেখ করে দায় আরোপ ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, এটা খুব খারাপ ভবিষ্যৎই ইঙ্গিত করছে সামনে। আমার মনে হয়, এদের প্যারেন্ট সংগঠনের সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা অতি জরুরি এবং একান্ত অপরিহার্য। আল্লাহ সবাইকে হিফাজত করুক, সঠিক জ্ঞান-বুঝ দিক। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *