free tracking

কাজে আসবে না জেনেও হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিতেন হাসিনা!

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তার শাসনামলের বিলাসী জীবনধারা, স্বেচ্ছাচারী আচরণ, এবং প্রকল্পের নামে হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

সম্প্রতি নদী গবেষক ড. রুকনুল ফেরদৌস এক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ড্রেজিং প্রকল্পের অনুমোদন দেন, যা গবেষণার ফলাফলের বিপরীতে ছিল।

ড. ফেরদৌস জানান, “ক্যাপিটাল ড্রেজিং” নামে একটি প্রকল্পের জন্য সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে নির্দিষ্ট একটি স্থানে ড্রেজিং কার্যক্রমের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, সেখানে ড্রেজিং কার্যকর হবে না।

কিন্তু, মিটিংয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নির্দেশ দেন যে রিপোর্ট পরিবর্তন করে ড্রেজিংকে কার্যকর দেখাতে হবে। এ নিয়ে ড. মুমিনুল হক এবং তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অযৌক্তিক দিক তুলে ধরেন। কিন্তু পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরাসরি জানিয়ে দেন, “ড্রেজিং করতেই হবে,” এবং তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর কিছু শুনতে চাননি।

মিটিং শেষে ড. ফেরদৌস অভিযোগ করেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব তাকে গাড়িতে তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং পরে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন।

শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগও উঠে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়েছে, এসব প্রকল্পের কিছু আদৌ প্রয়োজন ছিল না, যা জনগণের টাকায় বিশাল ঋণের বোঝা চাপিয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনা পরিবারসহ বিভিন্ন স্বজনদের প্রকল্পের নামে দেশের অর্থ লুট করার সুযোগ দিয়েছেন। সাদা হাতি খ্যাত কর্ণফুলী টানেলসহ আরও বহু প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।

বর্তমানে ক্ষমতার বাইরে থাকা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচার চেয়ে জনমনে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। কেউ কেউ দাবি করছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দুর্নীতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=QZm6fgw2ixA

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *