সাংবাদিক সাঈদ খান মন্তব্য করেন, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের এই মুখোমুখি হওয়া টা প্রকৃতপক্ষে মুখোমুখি হওয়া না।পরবর্তী নির্বাচনে কারা জাতীয় সংসদ এ প্রভাবশালী হবে এটা জাতীয় রাজনীতির একটি প্রতিচ্ছবি এই ছাত্র সংগঠন গুলির উপর ইতিমধ্যে পড়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের দিয়েই মাঠ ধরে রাখে, প্রভাব বিস্তার করে যা একেবারে ঐতিহাসিক। শিবিরের ব্যক্তব্য, তারা দীর্ঘদিন একসাথে আন্দোলন করেছে একটি শত্রুর বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কিন্তু এই মুহুর্তে তার অনুপস্থিতিতে সামনে তাদের আরেকটি লোভনীয় লক্ষ্য হলো জাতীয় সংসদ। এই জাতীয় সংসদকে কেন্দ্র করেই ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির মুখোমুখি অবস্থানে।
তাদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোন দ্বন্দ্ব নেই উক্ত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছাড়া। কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি আগস্ট থেকে বন্ধ এমন বক্তব্যের সাথে তিনি অমত প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন, যদি বন্ধ থাকে তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংঘটিত হলো কি করে? এরপর ছাত্রদলের কিভাবে মুখোমুখি সংঘর্ষ হল? আর সেখানে কিভাবে উদ্ধারে ছাত্রশিবির এর প্রকাশ ঘটল? এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, শিবিরের কার্যক্রম এখানে ছিল।
এবং শিবির হয়ত ক্যাম্পাসের কর্তৃত্ব ধরে রাখার জন্য ছাত্রদলকে এখানে ঢুকতে দিতে চাচ্ছিল না। এমন কিছু হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। অর্থাৎ সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও কার্যক্রম ছিল। আমারা পূর্বেও দেখেছি ছাত্রশিবির তাদের পরিচয় লুকিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে অবস্থান করেছিল, সেভাবেও তারা থাকতে পারে।
Leave a Reply