নিজস্ব প্রতিবেদক: দুবাইয়ের ক্রিকেট মঞ্চে এক অবিস্মরণীয় দিনের সাক্ষী হলো বিশ্ব। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ধসে পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৫ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। তবে এমন সংকটময় মুহূর্তে ব্যাট হাতে দলের হাল ধরলেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী। তাদের অসাধারণ জুটি ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করল।ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জার্সি
ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তোলেন এই দুই ব্যাটার। তাদের এই অনন্য জুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৯ বছরের পুরোনো এক রেকর্ড মুছে দেয়। ২০০৬ সালে মোহালিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জাস্টিন কেম্প ও মার্ক বাউচার ১৩১ রানের জুটি গড়ে যে কীর্তি গড়েছিলেন, তা এবার ছাড়িয়ে গেলেন জাকের-হৃদয়।
শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির রেকর্ডই নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ জুটির নতুন রেকর্ডও এখন তাদের দখলে। এর আগে ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার মারভান আতাপাত্তু ও রাসেল আর্নল্ড ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে রেখেছিলেন পুরোনো রেকর্ডটি।
তবে দুর্ভাগ্যের শিকার হন জাকের আলী। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের একদম দোরগোড়ায় গিয়েও তা ছুঁতে পারেননি। ৪৩তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১১৪ বলে ৬৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
অপরপ্রান্তে, ইনিংসের স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন হৃদয়। পায়ে চোট পেয়েও অসাধারণ লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দেন তিনি। ১১৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পরেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান। তার ব্যাটেই আসে ইনিংসের একমাত্র সেঞ্চুরি, যা বাংলাদেশের স্কোরকে ২২৮ রানে পৌঁছে দেয়।
হৃদয় ও জাকেরের এই দুর্দান্ত জুটি শুধু দলকে কঠিন সময় থেকে রক্ষা করেনি, বরং প্রমাণ করেছে নতুন প্রজন্মের ব্যাটারদের সামর্থ্য। তাদের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল, তা আরও একবার দৃঢ়ভাবে ফুটে উঠল।
Leave a Reply