free tracking

যে ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পাকে!

মানুষের মুখ ও চেহারা বলে দেয় তাদের স্বাস্থ্যের খবরাখবর। বর্তমান সময়ে অনেকেরই কম বয়সে মুখে বলিরেখা পড়তে দেখা যায়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে চুল সাদা হতে শুরু করে।

যদিও অনেকেই এই ধরনের সমস্যাকে গুরুত্ব দেন না, এ কথা সত্যি যে অকালে চুল পেকে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই শরীরে বড় ধরনের সমস্যার সূচক।

মূলত ভিটামিন আমাদের শরীরের এমনই একটি প্রয়োজনীয় উপাদান, যার অভাবে শরীরে এই ধরনের কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে।
কখনো কখনো জিনগত কারণেও চুল ধূসর হতে পারে। পুরুষ হোক বা নারী, যে কারোরই অল্প বয়সে চুল ধূসর হয়ে যেতে পারে। কখনো কখনো অটোইমিউন সিস্টেমের রোগ বা ব্যাধির কারণে চুল ধূসর হয়ে যায়।

থাইরয়েডের অসুখ এবং ভিটামিন বি১২-এর অভাবেও চুল পেকে যেতে পারে। চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অকাল মেনোপজ ও ধূমপান। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খারাপ জীবনধারা, চুলের যত্ন না নেওয়া ইত্যাদিও চুলের কিছুটা ক্ষতি করে।

তবে কিছু ভিটামিন গ্রহণের মাধ্যমে আপনি চুল পাকার সমস্যা এড়াতে পারেন।

আমরা জানি, সাদা চুল বয়স বৃদ্ধির লক্ষণ। কিন্তু আজকাল তরুণদের মধ্যেও সাদা চুলের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। অল্প বয়সে চুল পাকা হওয়ার কারণ পুষ্টির অভাব। ঠিক কোন ভিটামিনের অভাবে চুল অকালে পাকে এবং কিভাবে আটকাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে ভিটামিন সি, বি, ডি এবং জিংকের ঘাটতি হলে অল্প বয়সে চুলে পাকা দেখা দিতে পারে।

চুলে রং করাটা কিন্তু পাকাপাকিভাবে সমস্যার সমাধান নয়। কিছু খাবার থেকে আপনি এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে নিতে পারেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে

কম বয়সে চুল পাকার কারণ হিসেবে ধরা হয় ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন ডি-এর অভাব। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে রোদে বসে থাকা শুরু করুন। এ ছাড়া আপনার খাদ্যতালিকায় দুধ, দই, পনির, মাশরুম, ডিম ও চর্বিযুক্ত মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন।

চুল পাকা রোধ করবে কোন ভিটামিন

চুল পাকা রোধ করতে আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড অন্তর্ভুক্ত করুন।

কোন ভিটামিন চুলকে কালো রং দেয়

ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি১২ চুল কালো করে। চুল কালো করতে আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই অন্তর্ভুক্ত করুন।

কোন ফল চুল কালো করে

কমলা, লেবু, আমলকী, কিউইজাতীয় ফল খেলে চুল কালো হতে পারে। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফলিক এসিডের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।

এই প্রতিবেদনে শুধু সচেতনতার উদ্দেশ্যে তথ্য প্রদান করা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

সূত্র : নিউজ ১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *