নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে মুনতাসির মামুনের পদ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং পশ্চিমা সমকামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাজনৈতিকভাবে কাজ করতে পারেন। এই অভিযোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
নেতৃত্বের ব্যাখ্যা ও অবস্থান স্পষ্টকরণবিতর্কের মুখে এনসিপির দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এবং ভুল স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন—”রাজনীতির আগেও আমার পরিচয়, আমি একজন মুসলমান। আমি আমার এই পরিচয় ধারণ করি এবং সবসময় করেই যাবো। আমার বিশ্বাস বা দেশের মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করে এমন কোনো রাজনীতি করবো না। ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী কিছুই আমাদের রাজনীতিতে থাকবে না। যা হয়েছে, সেটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, তবে আমরা তা সংশোধন করবো।”
সারজিস আলমও একই সুরে বলেছেন—”আমরা নির্ভুল নই। কোনো ভুল হলে সেটি সংশোধনের মানসিকতা আমাদের সবসময় ছিল, আছে, এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।”
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিক্রিয়াএদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মাহিন সরকার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “মুনতাসির ভাই আমাদের সেফ হোমের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, কিন্তু তার এমন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমরা জানতাম না। আল্লাহর কসম! বঙ্গদেশে আমরা সমকামিতাকে চাই না।”
নতুন রাজনৈতিক দল, নতুন বিতর্কশেখ হাসিনার সরকারের পতনকে লক্ষ্য রেখে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের ঘোষণার একদিনের মধ্যেই অভ্যন্তরীণ বিতর্কের মুখে পড়েছে। এনসিপির ১৫১ সদস্যের কমিটিতে মুনতাসির মামুনের অন্তর্ভুক্তি আদৌ থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তবে, সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে এনসিপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও নীতিনৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Leave a Reply