টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে তিনটি গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন। এসময় স্থানীয় শুলাকুড়া বাজারের প্রায় ৭০টি দোকানও ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সুলিয়া, সহদেবপুর ও সাকরাইল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, তানভীর, বিপ্লব, জয়, জাহান, শাহিনুর ইসলাম ও শফিকুর রহমান।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি ওরশের মারামারির সমাধানের জন্য সোমবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদের মাথায় হঠাৎ একটি ইটের ঢিল দেওয়া হয়। এতে সুলিয়া ও সহদেবপুর গ্রামের মানুষজন সাকরাইল গ্রামের মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত হওয়া বিএনপির নেতা শুকুর মাহমুদ জানান, সালিশ বৈঠকে বসার পরে স্থানীয় কিছু যুবক হঠাৎ তার মাথায় একটি ইটের ঢিল ছুঁড়ে মারে। পরে মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে দেখতে পেয়ে তিনি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে খবর পান তার সমর্থকদের মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভুঁইয়া বলেন, “ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়েছে।”
Leave a Reply