নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর হতে হবে এবং এই বিচার শুধুমাত্র বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিণতি বাংলার মাটিতেই সম্পন্ন হবে।” তার এই বক্তব্যটি তিনি মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল যে, যেসব অপরাধী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং গত ১৫ বছর ধরে যে সকল জুলুম করেছেন, তাদের বিচার এখানেই হবে, এই বাংলার মাটিতে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুত এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন, কারণ বাংলাদেশের জনগণ এটি দ্রুত দেখতে চায়। এরপর, যে সংস্কার কার্যক্রমের জন্য জাতীয় ঐকমত্য রয়েছে, সে অনুযায়ী ‘জুলাই সনদ’ এবং ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।”
নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করলেও আমাদের সার্বভৌমত্ব বারবার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বারবার ধ্বংস হয়েছে। আমরা কখনও পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে সক্ষম হইনি, বরং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দিয়ে ফ্যাসিজম এবং একদলীয় স্বৈরতন্ত্রের বীজ রোপণ করা হয়েছে।”
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলো বারবার বিলম্বিত হয়েছে, আর এবার আমাদের লক্ষ্য যেন তা আর না হয়। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পুরনো সংবিধান ও শাসন কাঠামো দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। শুধু সরকার পরিবর্তন করলেই জনগণের কল্যাণ সম্ভব নয়। তাই, আমরা বলছি, ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থান হবে, ছাত্র-জনতা রক্ত দেবে, কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, পুরো সাংবিধানিক কাঠামো পরিবর্তন করে একটি নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র, ইনসাফ ও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে।”
এদিন, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় এনসিপি নেতাকর্মীরা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকাল ৭টায় নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন, এবং এই সময় উপস্থিত ছিলেন নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেনসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply