free tracking

ফুলশয্যার পরদিন সন্তানের জন্ম দিলেন নববধূ, অতঃপর…

ধুমধাম করে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি গেলেন নববধূ। কিন্তু ফুলশয্যার পরদিন মাথায় হাত নতুন বরের। কারণ নববধূ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বুধবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলার জাসরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বরযাত্রী নিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে করতে যান পাত্র। গভীর রাতে সিঁদুর পরানোর পর তার পরের দিন বরের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি রওনা হন নববধূ। সারা দিন ধরে বিয়ের নানা আচার-অনুষ্ঠান চলে। নতুন বৌকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উঠে শ্বশুরবাড়ির সকল সদস্যকে চা পরিবেশন করেন নববধূ। কিন্তু সন্ধ্যাবেলা থেকেই তরুণীর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

দ্রুত অস্ত্রোপচার করানো প্রয়োজন তার। দুই ঘণ্টা পর সন্তানের জন্ম দেন নববধূ। কিন্তু এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়ে নতুন বরের। তার দাবি, বিয়ের পর মাত্র একদিন একসঙ্গে কাটিয়েছেন তারা। ফুলশয্যা হয়ে গিয়েছে ঠিকই।

কিন্তু এই সন্তানের বাবা তিনি নন।

তরুণের পাশাপাশি সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তার বাড়ির লোকেরাও। তবে, নববধূর বাবার বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে যে, এই সন্তান নববধূর স্বামীরই। নববধূর বাবার দাবি, গত বছর মে মাস থেকে তার মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তখন থেকেই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করতেন তার মেয়ে।

কিন্তু শ্বশুরের দাবি অস্বীকার করেছেন নতুন বর। তার পাল্টা দাবি, মাত্র চার মাস আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাদের। তার আগে তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হননি তিনি। যুবক আরো জানিয়েছেন, বিয়ে উপলক্ষে যা খরচাপাতি হয়েছিল তা ফেরত চান না তিনি। কিন্তু যা উপহার তরুণীর বাড়িতে তাদের পরিবারের তরফে পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো যেন অবিলম্বে ফেরত দেওয়া হয়। এছাড়া আইনের সাহায্য নেবেন যুবক।

এদিকে যুবকের পরিবারের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তরুণীর মা। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে সমাধান চাইতে গেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, নবজাতককে নিয়ে নববধূ যেন তার বাবার বাড়িতে ফিরে যান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বর্তমানে সন্তানের সঙ্গে নিজের বাবার বাড়িতেই রয়েছেন নববধূ।

সূত্র : আনন্দবাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *