free tracking

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, ছেঁড়া হলো ভারতের পতাকা!

যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের সামনে খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মধ্যে তার গাড়ির কাছে এক ব্যক্তি ছুটে যান এবং হামলার চেষ্টা চালান। একইসঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটে।

খালিস্তানপন্থিদের হামলার চেষ্টাভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বুধবার রাতে লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে একটি আলোচনায় অংশ নেন জয়শঙ্কর। এ সময় খালিস্তানপন্থিরা পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন এবং ভারত-বিরোধী স্লোগান দেন।

জয়শঙ্কর যখন অনুষ্ঠান শেষে বের হচ্ছিলেন, তখন এক বিক্ষোভকারী তার কনভয়ের সামনে চলে আসেন এবং ভারতের পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে আরও কয়েকজন বিক্ষোভকারী তার গাড়ির কাছে এসে স্লোগান দিতে থাকেন।

পুলিশি হস্তক্ষেপ ও নিরাপত্তা শঙ্কাপ্রাথমিকভাবে পুলিশ কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও পরে তারা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নেয়। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ঘটনায় জয়শঙ্করের নিরাপত্তায় গুরুতর ত্রুটি দেখা গেছে।

হামলার পেছনে ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনের হাত?ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারণা করছে, এই ঘটনার নেপথ্যে খালিস্তানপন্থি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) রয়েছে। অতীতে ব্রিটেন ও কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের ওপর হামলায় এই সংগঠনের নাম উঠে এসেছে।

এর আগে ২০২৩ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামীর ওপর হামলা চালিয়েছিল এসএফজে সদস্যরা। এছাড়া লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনেও হামলার অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে।

ব্রিটেন-ভারত বৈঠক ও খালিস্তান প্রসঙ্গবুধবার জয়শঙ্কর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, এবং ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। তবে খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে তারা কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।

খালিস্তান আন্দোলনের পটভূমিখালিস্তান আন্দোলন মূলত শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবি নিয়ে গড়ে ওঠে। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পাঞ্জাবে এ আন্দোলন চরম আকার ধারণ করেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানের পর তা কিছুটা স্তিমিত হলেও বিদেশে থাকা শিখদের মধ্যে এখনো আন্দোলনটি সক্রিয় রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে খালিস্তানপন্থি বিক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *