রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ রয়েছে:
কী করবেন:
ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করুন: খাবারের মধ্যে প্রোবায়োটিক্স ও প্রিবায়োটিক্স যুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করুন। প্রোবায়োটিক্স যেমন দই, কেফির ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন।
শরীরচর্চা করুন: ব্যায়াম ও হাঁটার মাধ্যমে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে পারেন। এছাড়া, ভালো ঘুমের জন্য খাবার খাওয়ার পর তিন-চার ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়া ভালো।
সুষম খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করুন: সোজা খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেশীয় ফল, যেমন তরমুজ, পেঁপে, খেজুর, আঙুর ইত্যাদি খাবারের জন্য ভালো। তবে, ডায়াবেটিস থাকলে সতর্ক থাকতে হবে।প্রকৃত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন: প্রসেসড ফুডের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ও সুষম খাবার খাওয়া উচিত। সয়াবিন বাদ দিয়ে সরিষা তেল ব্যবহার করতে পারেন।
কী করবেন না:
বেশি তেল ও মশলাযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন: ডুবো তেলে ভাজা খাবার ও মসলাযুক্ত খাবারের পর গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
অনেক খাবার একসাথে খাওয়া এড়িয়ে চলুন: একসাথে বেশি খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে এবং গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে।
ভরপেটে শুয়ে পড়বেন না: খাবার খেয়ে সোজা শুয়ে পড়া পেটের জন্য খারাপ, এর ফলে এসিড রিফ্লাক্স এবং হার্টবার্ন হতে পারে।
এছাড়া, গ্যাসের ওষুধ ব্যবহার কমানো উচিত কারণ প্রোটোন পাম্প ইনহিবিটর বা পিপিআই ব্যবহার করলে পেটের এসিড কম হয়ে যায়, যা খাবারের সঠিক হজমে বাধা সৃষ্টি করে এবং শরীরে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলোর শোষণ কম হয়।
সমস্যার সমাধান:এছাড়া, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখাও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
Leave a Reply