চ্যাম্পিয়নদের ঘরে ফেরা। উৎসবের বাধ ভাঙে মুম্বাইয়ের রাস্তায়। বিমানবন্দর থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটাররা। এরপর ট্রফি নিয়ে মূল উৎসব হয় আইপিএলে রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়াদের ঘরের মাঠে।
গতকাল চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই এই উৎসবে হাজির হন পূর্ণিমা শর্মা। ছেলে রোহিতের হাতে বিশ্বজয়ের ট্রফি দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে পূর্ণিমা বলেন, ‘আমার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। শরীরটা ভালো নেই।
তা-ও এসেছি। কারণ আমি এই সব কিছু নিজের চোখে দেখতে চেয়েছিলাম। ভীষণ ভালো লাগছে। আমি কখনো এমন সমর্থন দেখিনি।
রোহিত যে পরিশ্রম করেছে, সেটার জন্যই এই ভালোবাসা পাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি সবচেয়ে সুখী মা।’
বিশ্বকাপ জয়ের পর আচমকা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন রোহিত। তবে ছেলের এই সিদ্ধান্ত পূর্বপরিকল্পিত বলে জানান রোহিতের মা, ‘এমন একটা দিনের সাক্ষী থাকতে পারব, ভাবতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল।
সে সময় বলেছিল, এ বার দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলা ছাড়তে চায়। আমি বলেছিলাম, এই বিশ্বকাপ জেতার চেষ্টা কর।’
ওয়াংখেড়েতে সমর্থকদের ভালোবাসার জবাব দেন ক্রিকেটাররা। তখন প্রেসিডেন্ট বক্সে আবেগের স্রোত। রোহিতের মা-বাবার সঙ্গে ছিলেন তাদের কয়েকজন প্রতিবেশী। স্পোর্টসলাইন সোসাইটিতে বড় হয়েছেন রোহিত। সেখানকার মানুষের কাছে রোহিত একটুও বদলাননি। পূর্ণিমা শর্মা বলেন, ‘এর থেকে বেশি আর কী চাইব। জীবনে এই দিনটা আর ফিরে আসবে না। এই দিনটা দেখার জন্যই তো এত দিন ধরে খেলছিল।’
Leave a Reply