ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা পুরুষ ও নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আদেশ-নিষেধ প্রদান করেছে। ইসলামে নারীদের জন্য কিছু বিষয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা মূলত তাদের সম্মান, মর্যাদা এবং নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রযোজ্য। এখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নিষিদ্ধ কাজ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১. পর্দা লঙ্ঘন করা
ইসলামে নারীদের জন্য পর্দা পালন করা বাধ্যতামূলক। কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, নারীদের উচিত তাদের সৌন্দর্য ও সাজসজ্জা অনাবৃত না রাখা এবং গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে শালীনতা বজায় রাখা। কুরআনে বলা হয়েছে:
“আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তবে যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় তা ছাড়া। এবং তারা যেন তাদের ওড়না বুকের উপর ফেলে রাখে…” (সূরা আন-নূর: ৩১)
২. পুরুষদের অনুকরণ করা
ইসলাম নারীদের জন্য পুরুষদের অনুকরণ বা তাদের মতো পোশাক পরা ও আচরণ করা নিষিদ্ধ করেছে। হাদিসে এসেছে, “আল্লাহ সেই পুরুষ ও নারীদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন, যারা একে অপরের অনুকরণ করে।” (সুনান আবু দাউদ)
৩. অশালীনতা ও কুসংস্কারে জড়ানো
ইসলামে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই শালীনতা ও নৈতিকতার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অশ্লীল কথাবার্তা, অশালীন পোশাক পরিধান, এবং অনৈতিক কাজ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার ও বিদআত থেকেও বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসলাম নারীদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার জন্য কিছু বিধি-বিধান নির্ধারণ করেছে। ইসলামী শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজকে সুন্দর ও নৈতিকভাবে উন্নত করা। তাই নারীদের উচিত ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলা, যাতে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করতে পারে।
Leave a Reply