আমাদের জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যেখানে আপস করা বা মানিয়ে চলা দরকার হয়। তবে কিছু বিষয় আছে, যেখানে কোনোভাবেই আপস করা উচিত নয়। এই বিষয়গুলো নিয়ে আপস করলে ব্যক্তি জীবন, কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক জীবনে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আত্মসম্মানবোধের সঙ্গে আপস নয়
নিজের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য কখনো অন্যায় বা অবমাননাকর কোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলা উচিত নয়। কেউ যদি আপনাকে বারবার অপমান করে বা আপনার আত্মসম্মানে আঘাত করে, তাহলে সম্পর্ক হোক বা কর্মক্ষেত্র—যেখানেই হোক, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে আপস নয়
কোনোভাবেই অন্যায়, দুর্নীতি বা অপরাধের সঙ্গে আপস করা উচিত নয়। অনেক সময় চাকরি বা সামাজিক কারণে অনেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে চুপ করে থাকেন। কিন্তু এর ফলে সমাজে অন্যায়ের প্রসার ঘটে। তাই অন্যায় দেখলে তা প্রতিরোধ করাই দায়িত্ব।
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন মেনে নেওয়া উচিত নয়
কোনো ব্যক্তি যদি শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন করেন, তবে তা কখনো মানিয়ে চলা উচিত নয়। দাম্পত্য, প্রেমের সম্পর্ক বা কর্মক্ষেত্রে—যেখানেই হোক, নির্যাতন সহ্য করা উচিত নয়। দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ভুল আদর্শ বা ভ্রান্ত মতাদর্শ গ্রহণ নয়
কোনো ভ্রান্ত মতাদর্শ বা ভুল বিশ্বাসের কারণে নিজের নৈতিক মূল্যবোধ বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়। অনেক সময় সমাজ বা পরিবার চাপ সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু সঠিক ও ন্যায়ের পথে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য বিসর্জন নয়
জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে নানা বাধা আসবে। কিন্তু অন্যের চাপে নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়। নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণে অটল থাকা জরুরি।
মানিয়ে চলা ভালো, তবে সবক্ষেত্রে নয়। যেখানে আত্মসম্মান, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্ন আসে, সেখানে আপস না করাই শ্রেয়।
Leave a Reply