free tracking

এইমাত্র শেষ হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ!

২০১৩ সালের পর আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আবারও ঘরে তুলল ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা জিতল রোহিত শর্মার দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর একদিনের ক্রিকেটেও শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরলো ভারত।

ফাইনালের চিত্র: শুরুতে কিউইদের চাপে ফেলে ভারত

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। রাচীন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং শুরুটা দুর্দান্ত করলেও ভারতীয় স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে তারা বেশি এগোতে পারেননি। বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব মিলে ব্ল্যাক ক্যাপসদের মিডল অর্ডার ধ্বংস করে দেন। বিশেষ করে কুলদীপ উইলিয়ামসনকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে ভারতকে ম্যাচে এগিয়ে দেন।

ডেরিল মিচেল (৬৩) ও মাইকেল ব্রেসওয়েল (৫৩) লড়াই করলেও নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫০ রানের বেশি করতে পারেনি। ভারতের হয়ে বরুণ ৩টি ও কুলদীপ ২টি উইকেট নেন, পাশাপাশি মোহাম্মদ শামিও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন।

রোহিতের বিধ্বংসী ইনিংস ও ভারতের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং

২২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। মাত্র ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া রোহিত ৮৩ বলে ৭৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তার ব্যাটিংয়ে ভারতীয় শিবিরে আত্মবিশ্বাস আসে। গিল ছিলেন কিছুটা ধীরস্থির, ৩১ রান করে আউট হন।

রোহিতের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়্যার (৪৮) ও অক্ষর প্যাটেল (২৯)। যদিও তারা অর্ধশতক করতে ব্যর্থ হন, তবুও প্রয়োজনীয় সময় দলকে এগিয়ে দেন। শেষ দিকে লোকেশ রাহুলের ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস ভারতের জয় নিশ্চিত করে।

ভারতের জয়: স্পিনারদের নৈপুণ্য ও ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা

এই ম্যাচে ভারতের জয় মূলত নির্ধারিত হয়েছে স্পিনারদের দাপটে। বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ধস নামান, যা কিউইদের বড় স্কোর করতে বাধা দেয়। এছাড়া রোহিতের অসাধারণ ব্যাটিং ভারতকে এগিয়ে নেয়।

এই জয়ে ভারত দেখিয়ে দিল কেন তারা বর্তমান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল। আগামীতে তাদের লক্ষ্য ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, যেখানে তারা আবারও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চাইবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *