জামার হাতা ভাঁজ করে বা গুটিয়ে নামাজ পড়লে নামাজটি ত্রুটিপূর্ণ হবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিস্কার ভাবে বলেছেন কেউ যেন জামার হাতা গুটিয়ে নামাজ না পড়ে। এটি মাকরুহ, ত্রুটিপূর্ণ, এটা জায়েজ নাই।
হাতা ভাঁজ করা বা গুটানো থাকলে তা মেলে দিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ আল্লাহর সামনে আপনি যখন দাঁড়াচ্ছেন তখন বিনয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকতে হবে আপনাকে।
অনেকসময় তাড়াহুড়ায় ওজুর পরে ভুলবশত জামার হাতা না মেলেই অনেকে পুরো নামাজ পড়ে ফেলেন। এক্ষেত্রে কোনোরকম নামাজ হয়ে যাবে, কিন্তু তা মাকরুহ ও ত্রুটিপূর্ণ। এটি উচিত নয়। নামাজে দাঁড়ানোর আগেই মেলে দিতে হবে অথবা নামাজের মধ্যেই আলতো করে হাতা মেলে দিতে হবে।
অনেকে প্যান্ট ভাঁজ করে নামাজ পড়ে। এইটার মাসআলা হলো, সাধারণত একজন মুসলমান পুরুষ সর্বাবস্থায় টাকনুর উপরে প্যান্ট বা পায়জামা পড়বে। মহানবী (সা:) বলেছেন, “টাকনুর নিচে মানুষের যে পোশাক যায়, সেটা জাহান্নামে যাবে”। সুতরাং, টাকনুর নিচে পোশাক পরা যাবে না। এটা সুন্নতের ব্যাপার না, এটা হালাল হারামের ব্যাপার। ছেলেরা টাকনুর নিচে কাপড় পরলে তা হারাম হবে, আর মেয়েরা টাকনুর উপরে পরলে তা হারাম হবে। মহানবী (সা:) এগুলো নিষেধ করেছেন।
এখন যারা শুধুমাত্র নামাজের সময় প্যান্ট ভাঁজ করে টাকনুর উপরে পরে তাদের কী হবে? নামাজের উসিলায় এতোটুকু সময় সেই বান্দা হারাম থেকে বেঁচে থাকে যার জন্য সে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। যদিও, অনেকে নামাজ শেষে আমার প্যান্ট টাকনুর নিচে নামিয়ে ফেলেন। তবে এটি হাতার ভাঁজের মতো ত্রুটিপূর্ণ হবে না, কারণ এটি হারাম থেকে বাঁচার জন্য করা হয়েছে।
Leave a Reply