free tracking

কঠোর হচ্ছে সরকার, ‘অল আউট অ্যাকশনে’ যাচ্ছে ডিবি!

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ থাকলেও, সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি, এবং অন্যান্য অপরাধের ঘটনা বাড়ার পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত হয়েছে।

সরকারের কঠোর অবস্থানসরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না, এবং তাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোরভাবে কাজ করবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য অভিযান চালাবে।

এ বিষয়ে গত রবিবার (৯ মার্চ) এক বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “দেশে যেই ঘটনা ঘটছে, তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যে ধর্ম, মত বা পথের হোক না কেন, কেউ ছাড় পাবে না। সরকার এতদিন বিষয়টি সহ্য করলেও, আজ থেকে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

বিশেষ অভিযাননৈরাজ্য প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও কাজ শুরু করেছে। মহানগরী এলাকাতে সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অল আউট অ্যাকশন’ নেওয়া হচ্ছে, এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন যে, অভিযান আরও বাড়ানো হবে।

গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাগত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ২৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীসহ অন্যান্য এলাকায় র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে ৭১টি পুলিশ চেকপোস্টসহ সিটিটিসি, এটিইউ, এপিবিএন এবং র‌্যাবের টহলদল দায়িত্ব পালন করছে।

গোয়েন্দা নজরদারিঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অল আউট অ্যাকশন’ নিতে শুরু করেছে। ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, ডিবি চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে এবং কোনো ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করবে। এছাড়া, রোজার সময় বাড়তি নজরদারি রাখা হবে, বিশেষ করে আর্থিক লেনদেন, শপিং মল, ব্যাংক-বীমা, রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, এবং অন্যান্য এলাকায় যাতে নাশকতা বা অপরাধ না ঘটে, সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হবে।

পরবর্তী পদক্ষেপঅপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকারের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্য তৎপরতা জোরদার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *