free tracking

শিশু ধর্ষণ: ৭১ বছরের বৃদ্ধকে আটক করে পুলিশে দিল জনতা!

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ১১ মার্চ ২০২৫: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে:গত সোমবার (১০ মার্চ) রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামের সন্দ্বীপ পাড়ায় ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির পরিবার জানায়, শিশুটি তার বাড়ির কাছাকাছি এক জায়গায় খেলাধুলা করছিল। এর মধ্যেই ইউসুফ নামের ওই বৃদ্ধ তাকে ফুসলিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়।

অভিযোগ জানাজানি হওয়ার পর:ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে যায় এবং দ্রুত একত্রিত হয়ে ইউসুফকে আটক করে। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছে এবং ইউসুফকে তাদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার জন্য ব্যবস্থা নেয়। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ইউসুফকে আটক করে তাদের হেফাজতে নেয়।

পুলিশি কার্যক্রম:সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সোহেল রানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর ইউসুফকে তাদের হেফাজতে নিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়। সেখানে শিশুটির চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে।

আইনগত পদক্ষেপ:ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্ত ইউসুফের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী, শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর, আরও তদন্ত এবং আদালত অবধি অভিযুক্তকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। পুলিশ ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এবং ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত করছে।

স্থানীয় জনগণের ভূমিকা:এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। শিশু ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং দায়িত্ববোধ নিশ্চিত করেছে যে, এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা এবং প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য জনগণও উদ্যোগী হতে পারে। গ্রামবাসী ইউসুফকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করেছে, যা জনগণের মধ্যে অপরাধের বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়ার শক্তি প্রতিফলিত করে।

শিশু নির্যাতন এবং সচেতনতা:এটি আবারও প্রমাণ করেছে যে আমাদের সমাজে শিশু নির্যাতন একটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা। এই ধরনের ঘটনার প্রতিরোধ এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারি এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর উচিত শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে।

এদিকে, শিশুর নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধ করতে, দেশের বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় স্তরের প্রশাসনিক উদ্যোগ আরও সক্রিয় ও ফলপ্রসূ হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *