জাকাত ফরজ ইবাদত এবং ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে মুসলিম নর-নারীর ওপর জাকাত ফরজ হয়। কেবল তিন ধরনের সম্পদই জাকাতযোগ্য সম্পদ। এর বাইরে কোনোকিছুর ওপর জাকাত ফরজ হয় না। নিচে জাকাতযোগ্য ৩ শ্রেণির সম্পদের পরিচয় তুলে ধরা হলো।
১. দেশি বিদেশি মুদ্রা
দেশি-বিদেশি মুদ্রা নিজের কাছে জমা থাক কিংবা ব্যাংক একাউন্টে বা বন্ড, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদিতে থাকুক বা ব্যাংক গ্যারান্টি হিসাবে জমা থাক সবই জাকাতযোগ্য সম্পদ। এছাড়া ব্যবসার মূলধন, পণ্যের বকেয়া মূল্য এবং কাউকে দেওয়া ঋণও এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত।
২. সোনা-রুপা
সোনা-রুপা অলঙ্কার হোক বা না হোক, ব্যবহৃত হোক বা অব্যবহৃত থাকুক, সর্বাবস্থায় তা জাকাতযোগ্য সম্পদ। (সোনা-রুপা ছাড়া অন্যকোনো ধাতুর অলঙ্কার বা মূল্যবান পাথর ইত্যাদি ব্যবসার পণ্য না হলে তা জাকাতযোগ্য সম্পদ নয়)
৩. ব্যবসার সম্পদ/পণ্য
ব্যবসার সম্পদ/পণ্য জাকাতযোগ্য সম্পদ। ব্যবহারের নিয়ত ছাড়া কেবল বিক্রির নিয়তে কোনোকিছু ক্রয় করলে তা ব্যবসার পণ্য হিসেবে গণ্য হবে, চাই তা স্থাবর সম্পত্তি হোক বা অস্থাবর কোনো পণ্য এবং তা জাকাতযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। যেমন, কেউ একটি জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রয় করলো। তা ব্যবসা পণ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে। এমনিভাবে দোকান বা কারখানার বিক্রির মালামাল এবং মজুদকৃত কাঁচামাল সবই জাকাতযোগ্য সম্পদ।
অবশ্য ব্যবসার উপকরণ সামগ্রী জাকাতযোগ্য সম্পদ নয়। যেমন, অফিস, কারখানা, মেশিনারিজ, অফিস ও কারখানার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও আসবাব পত্র। এছাড়া ভাড়ার জন্য বাড়ি, গাড়িও এ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৯৯৭৪, ১০৫৫৭, ১০৫৬০; মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ৭০৫৪-৭০৬১; কিতাবুল আছল: ২/৯২; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১৮০; আদ্দুররুল মুখতার: ২/২৬৭, ২৬২, ৩০০)
Leave a Reply