বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি হাসানবাদ সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া নয় বছর বয়সী এক শিশুর ওপর নৃশংস নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. ইউসুফ (৭০), পিতার নাম মৃত খোরশেদ আলম। এই জঘন্য অপরাধে স্থানীয় জনসাধারণের ক্ষোভ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘটনার বিবরণ:প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত মো. ইউসুফ শিশুটিকে ১০০ টাকার লোভ দেখিয়ে পুকুরপাড় থেকে নিজের বাসার দোতালায় নিয়ে যান। সেখানে তিনি শিশুটির উপর নির্যাতন চালান। নির্যাতনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মাতব্বররা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সমঝোতার চেষ্টা চালায়। কিন্তু অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধের কারণে সমঝোতা ব্যর্থ হয়।
জনরোষ ও গ্রেপ্তার:সমঝোতা ব্যর্থ হওয়ার পর স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে টেনে বের করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহেল রানা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শিশুটির অবস্থা ও চিকিৎসা:নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে শিশুটির যথাযথ চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
আইনগত পদক্ষেপ:ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহেল রানা জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হবে। অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে এবং আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমাজের প্রতিক্রিয়া ও পর্যবেক্ষণ:এ ধরনের ঘটনা সমাজের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জার। শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। পাশাপাশি, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো ও এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সকলের এগিয়ে আসা জরুরি।
উপসংহার:এই ঘটনার দ্রুত ও সঠিক বিচার হওয়া অপরিহার্য। শিশুটির সুরক্ষার বিষয়টি সর্বাগ্রে দেখা উচিত এবং অপরাধীকে কঠোর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে এমন জঘন্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে।
Leave a Reply