free tracking

ফিতরা আদায়ের নিয়ম ও গুরুত্ব!

ইসলামের প্রতিটি বিধান মানবকল্যাণের জন্য নির্ধারিত, আর সাদাকাতুল ফিতর তারই একটি অংশ। ফিতরার মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষদের ঈদের আনন্দে শামিল করা। ঈদের নামাজের আগে এই ওয়াজিব আমল আদায় করা উত্তম।

যিনি ঈদের দিন সকালে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা এর সমপরিমাণ নগদ অর্থ ও ব্যবসায়িক পণ্য) থাকবেন, তাঁর ওপর নিজের এবং পরিবারের সব সদস্যের পক্ষ থেকে ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। ফিতরা প্রদান রোজার মধ্যে হয়ে যাওয়া ভুলত্রুটি সংশোধনের সুযোগ করে দেয়।

হাদিস অনুসারে, ফিতরার পরিমাণ এক সা খাদ্যবস্তু (প্রায় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম), যা যব, খেজুর, কিশমিশ, পনির বা গম হতে পারে। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সময়ে এটি নিয়মিতভাবে আদায় করা হতো। পরবর্তীতে সাহাবায়ে কিরাম বাজারমূল্য অনুযায়ী পরিমাণ নির্ধারণের অনুমোদন দিয়েছেন।

বর্তমানে, ফিতরা চাল, গম, খেজুর, কিশমিশ বা তাদের সমমূল্যের অর্থ দিয়েও আদায় করা যায়। অনেক মুসলিম দেশ বর্তমানে প্রধান খাদ্য হিসেবে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহদের মতে, যে অঞ্চলে যে খাদ্য প্রধান, তা দিয়েই ফিতরা দেওয়া উত্তম।

ফিতরা গ্রহণের যোগ্য ব্যক্তিরা

ফিতরা কোরআনে বর্ণিত আট শ্রেণির লোকদের দেওয়া যায়:

ফকির (যারা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে আছে)

মিসকিন (যারা ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে অপারগ)

সদাকাকর্মী (যারা ফিতরা ও জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে নিয়োজিত)

নওমুসলিম (যারা ইসলামে নতুন এবং আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন)

ক্রীতদাস মুক্তির জন্য

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি

আল্লাহর পথে সংগ্রামরত ব্যক্তি

মুসাফির ও পথশিশু

ফিতরা নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী কিংবা নগদ অর্থের মাধ্যমে প্রদান করা যায়। অনেক আলেমের মতে, সুবিধাভোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য কিছু, যেমন পোশাক, ঈদের বাজার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনেও দেওয়া যেতে পারে। তবে, পিতা-মাতা, ঊর্ধ্বতন আত্মীয়, সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রীকে ফিতরা প্রদান করা যায় না।ঈদের ফিতরা: কাকে দেবেন, কীভাবে দেবেন?

ইসলামের প্রতিটি বিধান মানবকল্যাণের জন্য নির্ধারিত, আর সাদাকাতুল ফিতর তারই একটি অংশ। ফিতরার মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষদের ঈদের আনন্দে শামিল করা। ঈদের নামাজের আগে এই ওয়াজিব আমল আদায় করা উত্তম।

ফিতরা আদায়ের নিয়ম

যিনি ঈদের দিন সকালে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা এর সমপরিমাণ নগদ অর্থ ও ব্যবসায়িক পণ্য) থাকবেন, তাঁর ওপর নিজের এবং পরিবারের সব সদস্যের পক্ষ থেকে ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। ফিতরা প্রদান রোজার মধ্যে হয়ে যাওয়া ভুলত্রুটি সংশোধনের সুযোগ করে দেয়।

ফিতরার পরিমাণ ও ধরন

হাদিস অনুসারে, ফিতরার পরিমাণ এক সা খাদ্যবস্তু (প্রায় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম), যা যব, খেজুর, কিশমিশ, পনির বা গম হতে পারে। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সময়ে এটি নিয়মিতভাবে আদায় করা হতো। পরবর্তীতে সাহাবায়ে কিরাম বাজারমূল্য অনুযায়ী পরিমাণ নির্ধারণের অনুমোদন দিয়েছেন।

বর্তমানে, ফিতরা চাল, গম, খেজুর, কিশমিশ বা তাদের সমমূল্যের অর্থ দিয়েও আদায় করা যায়। অনেক মুসলিম দেশ বর্তমানে প্রধান খাদ্য হিসেবে চালের হিসাব গ্রহণ করেছে। মুজতাহিদ ফকিহদের মতে, যে অঞ্চলে যে খাদ্য প্রধান, তা দিয়েই ফিতরা দেওয়া উত্তম।

ফিতরা গ্রহণের যোগ্য ব্যক্তিরা

ফিতরা কোরআনে বর্ণিত আট শ্রেণির লোকদের দেওয়া যায়:

ফকির (যারা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে আছে)

মিসকিন (যারা ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে অপারগ)

সদাকাকর্মী (যারা ফিতরা ও জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে নিয়োজিত)

নওমুসলিম (যারা ইসলামে নতুন এবং আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন)

ক্রীতদাস মুক্তির জন্য

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি

আল্লাহর পথে সংগ্রামরত ব্যক্তি

মুসাফির ও পথশিশু

ফিতরা প্রদানের পদ্ধতি

ফিতরা নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য, পণ্যসামগ্রী কিংবা নগদ অর্থের মাধ্যমে প্রদান করা যায়। অনেক আলেমের মতে, সুবিধাভোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য কিছু, যেমন পোশাক, ঈদের বাজার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনেও দেওয়া যেতে পারে। তবে, পিতা-মাতা, ঊর্ধ্বতন আত্মীয়, সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রীকে ফিতরা প্রদান করা যায় না।

ফিতরা ঈদের আগেই প্রদান করা উত্তম, যাতে সুবিধাভোগীরা তা দিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। কেউ চাইলে রমজান মাসেও এটি দিতে পারেন। কেউ যদি অন্যের পক্ষ থেকে ফিতরা প্রদান করে, তাহলে তা আদায় হয়ে যাবে। ধনীদের জন্য সর্বোচ্চ মূল্যের খাদ্য বা অর্থ দিয়ে ফিতরা দেওয়া উত্তম, আর সাধারণ মানুষের জন্য মাঝারি মূল্যের খাদ্যবস্তু বা অর্থ প্রদান শ্রেয়।

ফিতরা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান যা শুধু দান নয়, বরং সমাজের আর্থসামাজিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম মাধ্যম। এটি দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার এক অনন্য উপায়। তাই সময়মতো ফিতরা প্রদান করে ঈদের প্রকৃত আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই একজন মুসলমানের কর্তব্য।

ফিতরা ঈদের আগেই প্রদান করা উত্তম, যাতে সুবিধাভোগীরা তা দিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। কেউ চাইলে রমজান মাসেও এটি দিতে পারেন। কেউ যদি অন্যের পক্ষ থেকে ফিতরা প্রদান করে, তাহলে তা আদায় হয়ে যাবে। ধনীদের জন্য সর্বোচ্চ মূল্যের খাদ্য বা অর্থ দিয়ে ফিতরা দেওয়া উত্তম, আর সাধারণ মানুষের জন্য মাঝারি মূল্যের খাদ্যবস্তু বা অর্থ প্রদান শ্রেয়।

ফিতরা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান যা শুধু দান নয়, বরং সমাজের আর্থসামাজিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম মাধ্যম। এটি দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার এক অনন্য উপায়। তাই সময়মতো ফিতরা প্রদান করে ঈদের প্রকৃত আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই একজন মুসলমানের কর্তব্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *