গুরার শিশু আছিয়া খাতুনের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ ২০২৫) রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু আছিয়া খাতুন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মারা যায়। শিশুটির মৃত্যুর পর মাগুরায় সাধারণ জনগণ ও ছাত্রসমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ইফতারের আগ মুহূর্তে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে আছিয়ার মরদেহ মাগুরায় নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ছাত্র-জনতা এবং সাধারণ জনগণ অংশ নেয়।
জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আছিয়ার আদি নিবাস শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুণ্ডী গ্রামে। সেখানে এশার নামাজের পর আরেক দফা জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
শিশুটির মৃত্যুর পর থেকেই মাগুরায় শুরু হয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ। বিভিন্ন স্থানে মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মাগুরা শহরের ভায়না এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।
পরবর্তীতে, বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Leave a Reply